রাঙামাটি জেলার নানিয়াচরের বেতছড়িতে এক পাহাড়ির জমি বেদখেল করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে রাঙামাটির বাসিন্দা মিন্টু চাকমা বেতছড়ির দ্বিচান পাড়ায় শিখা মার কাছ থেকে ১০ একর জমি ক্রয় করেন। তবে টাকা পয়সার অভাবে তিনি এতদিন উক্ত জমির উন্নয়ন কিংবা সেখানে বাগান বাগিচা সৃষ্টি করতে পারেননি।
কিন্তু গত ৫ ফেব্রয়ারি হাবিব নামে জনৈক সেটলার তার উক্ত জমিতে জোর পূর্বক একটি ঘর নির্মাণ করে। প্রতিবাদে এলাকার জনগণ সেটা ভেঙে দেয়।
এরপর ৭ ফেব্রয়ারি উক্ত সেটলারটি বাদে আরও ১০ পরিবার বাঙালি সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাহারায় আবার সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে। সেনাদের ভয়ে এলাকার জনগণ প্রতিবাদ করতে না পারলেও সেখানে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এলাকার কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, কয়েকজন জুম্ম রাজাকার সেনা ও সেটলারদেরকে ভূমি বেদখলের কাজে নানাভাবে সহায়তা করছে। তারা জুম্ম রাজাকারদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিষোদ্গার উচ্চারণ করেন।
উক্ত জমি বেদখলের ঘটনা পাহড়িদের মনে বগাছড়ির ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। গত ২০১৪ সালে নানিয়াচরের বগাছড়িতে পাহাড়িদের জমি বেদখলকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি গ্রামে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বেশ কয়েকটি পাহাড়ি পরিবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রামবাসী বলেন, ‘আমাদের আজ কোন নিরাপত্তা নেই। আমরা জানি না কখন কার জমি কেড়ে নেয়া হবে। বাঙালিরা সম্পূর্ণ শক্তি ও ক্ষমতার জোরে অন্যায়ভাবে আমাদের জমিগুলো কেড়ে নিচ্ছে।’
যার জমিই বেদখলের চেষ্টা করা হোক, সবাইকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।