বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের কামিছড়া চাক পাড়ার কার্বারিসহ আটক ৬ জনের মধ্যে ২ জনকে মিথ্যা মামলায় জড়িত করে গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে, আটক অপর ৪ জন সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
পুলিশের নিকট সোপর্দ করা দুই ব্যক্তি হলেন- উথোয়াই হ্লা মার্মা (২৪), পিতা-মংদো মারমা ও ম্যানরুম মুরুং (৬০), পিতা- মৃত ধুই থং মুরুং। এর মধ্যে ম্যানরুম মুরুং সাবেক ইউপি সদস্য বলে জানা গেছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র পক্ষ থেকে উথোয়াই হ্লা মার্মা ও ম্যানরুম মুরুং এর বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ১৪৪, ৩৫৩, ৩৩২, ৩৩৩, ৩০৭ ধারায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা এবং বিজিবি সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণের মত মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়।
মামলার পরপরই বিজিবি সদস্যরা উথোয়াই হ্লা মার্মা ও ম্যানরুম মুরুং-কে নাইক্ষ্যছড়ি থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। এরপর নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ তাদেরকে বান্দরবান জেলা জজ আদালতে প্রেরণ করে। পরে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে, আটক অপর আরো ৪ জনকে কোথায়, কিভাবে রাখা হয়েছে তা এখনও আটককৃতদের আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীদের জানানো হয়নি। ফলে তাদের নিয়ে পরিবার ও গ্রামবাসীরা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ০১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে আলিকদম জোনের সেনাবাহিনী ও নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের বিজিবি’র একটি যৌথ দল দোছড়ি ইউনিয়নের কামিছড়া চাক পাড়ায় যৌথ অভিযান চালায়।এ সময় কামিছড়া চাক পাড়ার কার্বারী মংলাফো চাক (৬০), চিংলাঅং চাক (৫০) ও তাঁর এক ছেলে (নাম জানা যায়নি), লাগ্যছু চাক (৫৫), উথোয়াই হ্লা মার্মা (২৪) ও ম্যানরুম মুরুং (৬০) নামে ৬ নিরীহ গ্রামবাসীকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।