নিজস্ব প্রতিনিধি।। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের ধনপাদা-পাকুজ্জ্যাছড়ি এলাকায় জেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক এক নারীসহ ৩ জন মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধবার (২৬ অক্টোবর ২০২২) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ১. সুমিতা চাকমা (৪৩), স্বামী- সওলো চাকমা, গ্রাম- ধনপাদা, ২. রূপন চাকমা (১৮), পিতা- বুদ্ধ রঞ্জন চাকমা, গ্রাম- ধনপাদা ও ৩. গুলবাজ্যা চাকমা (৪০), পিতা- আনন্দ কুমার চাকমা, গ্রাম- পাকুজ্জ্যাছড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর আনুমানিক ২টার সময় জেএসএস সন্তু গ্রুপের কমাণ্ডার বরুণ চাকমার নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র দল ধনপাদা এলাকায় এসে বিনা কারণে উক্ত তিন জনকে বেধড়ক মারধর করে।
ভূক্তভোগী সুমিতা চাকমা অভিযোগ করে বলেন, তিনি তার ভাইয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে জেএসএস’র সশস্ত্র সদস্যরা তাকে আটকায় এবং নানা কথাবার্তা জিজ্ঞাসা করে ও গালিগালজ করে। পরে কমাণ্ডার বরুণ চাকমা নিজেই তাকে মারধর করে বলে তিনি জানান।
স্থানীয়রা জানান, নাড়াইছড়ি, উগুদোছড়ি (উল্টাছড়ি), ধনপাদা, বর্বোপাড়া, ধীরেন্দ্র ঘাট, পাকুজ্জ্যাছড়িসহ আশে-পাশের এলাকায় জেএসএস‘র সশস্ত্র কর্মীরা প্রতিনিয়ত সাধারণ জনগণকে হয়রানি করে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানকার এক কার্বারি বলেন, ইদানিং জেএসএস’র সশস্ত্র গ্রুপের লোকেরা প্রতিনিয়ত এলাকার জনসাধারণকে হুমকি-ধমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। তাদের নির্দেশ মতো ভাত খাওয়াতে না পারলে তারা গালিগালাজ করে এবং বলে থাকে ইউপিডিএফের সমর্থক তো তাই আমাদেরকে ভালোভাবে পরিবেশন করো না।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আর কতদিন এই ভাইয়ে ভাইয়ে হিংসা, হানাহানি দেখবো? আর কত রক্ত ঝরবে? অচিরেই এমন হানাহানি বন্ধ করে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। তখন জনগণকে আর নিজেদের জাত ভাইয়ের হাতে এমন হয়রানির শিকার হতে হবে না।
স্থানীয় এলাকাবাসী সাধারণ জনগণের ওপর হয়রানি, অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ করার জন্য জেএসএস সন্তু গ্রুপের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।