নিজস্ব প্রতিবেদক।। খাগড়াছড়িতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থার কর্মচারী পরিচয় দানকারী জামাল উদ্দিন এর দায়েরকৃত মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় খাগড়াছড়ি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক চাইথোয়াই মারমাকে পুলিশ আটক করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গত সোমবার (১৩ জুন ২০২২) চাইথোয়াই মারমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিক সমাজ।
এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. নুরুল আজম ও সাবেক সহ-সম্পাদক রিপন সরকার ও সাবেক পার্বত্য প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, অর্থ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক চাইথোয়াই মার্মার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত পেশাজীবী সাংবাদিক সমাজ খাগড়াছড়ি রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক বাবু চাইথোয়াই মারমা’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
জানা যায়, গত ২ জুন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নুনছড়ি যৌথ খামার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ কিছু আসবাবপত্র দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করে। আর এ বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হলেন সাংবাদিক চাইথোয়াই মারমা। ঐদিন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে মহালছড়ি নির্বাহী কর্মকর্তা জোবাইদা আক্তার প্রধান অতিথি এবং সাংবাদিক সৈকত দেওয়ান ও রুপায়ন তালুকদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাংবাদিক চাইথোয়াই মারমা নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে অপর সিনিয়র সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে আয়োজিত অনুষ্ঠান দেখতে পান।
অনুষ্ঠান শেষে চাইথোয়াই মারমা নিজের পরিচয় দিয়ে আয়োজক বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কর্মচারী পরিচয় দানকারী মো. মোবারকের কাছ থেকে অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চাইলে চাইথোয়াই মারমার সাথে সে (মোবারক) বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় মোবারকের সহকর্মী জামাল উদ্দিন উপস্থিত হয়ে চাইথোয়াই মারমার পরিহিত শার্ট টেনে ধরলে কিছুটা ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে চাইথোয়াই মারমার পরিহিত ছিঁড়ে যায়।
কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে চাইথোয়াই মারমার বিরুদ্ধে মিথ্যাভাবে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে আটক করে জেলে পাঠিয়ে দেয়।
বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি রুইথিঅং মারমা বলেন, ইউএনও ম্যাডাম চলে যাওয়ার পর আমাদের সাংবাদিক চাইথোয়াই বাবু এবং এনজিও কর্মীদের শুধু কিছু বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। মামলা হওয়ার মতো কিছুই হয়নি। কিন্তু এটাকে নিয়ে মামলায় আমাদের বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা চাইথোয়াই সাংবাদিক জেলে যাওয়ায় আমরা খুবই দুঃখ পেয়েছি এবং তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি।