রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উল্লো (উল্টা) পাড়া নামক গ্রামে মধ্য রাতে সেনাবাহিনী কর্তৃক অন্তত ৭ গ্রামবাসীর বাড়িতে হয়রানিমূলক তল্লাশি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি ২০২২) দিবাগত মধ্য রাতে এ তল্লাশির ঘটনা ঘটে।
যাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় তারা হলেন- ১। জয় শংকর তালুকদার, পিতা: বৃষকেতু তালুকদার, ২। দয়াল শান্তি তালুকদার, পিতা: ললিত ভূষণ তালুকদার, ৩। শান্তি কুমার তালুকদার, পিতা: যতীন বিহারী তালুকদার, ৪। সুপন চাকমা, পিতা: রবি কুমার চাকমা, ৫। সন্তুলাল চাকমা, পিতা: পূণ্য কমল চাকমা, ৬। মন্টু লাল চাকমা, পিতা: পূণ্য কমল চাকমা এবং ৭। বেনু লাল চাকমা, পিতা: জয় কমল চাকমা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মধ্য রাত ১২টার দিকে একদল সেনা সদস্য এসে উল্লো পাড়া নামক গ্রামে হানা দেয়। এ সময় সেনারা উক্ত গ্রামবাসীদের বাড়িতে প্রবেশ করে হয়রানিমূলক তল্লাশি চালায়। এ সময় সেনারা বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে তাদের ভাষায় ‘সন্ত্রাসীদের’ চাঁদা দিতে হয় কিনা, ‘সন্ত্রাসীরা’ এলাকায় আসে কিনা, পিসিপির ছেলেরা কোথায় থাকে ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করে হয়রানি করে।
তবে তল্লাশিকালে সেনারা কারোর বাড়িতে অবৈধ কোন কিছু পায়নি।
এর আগে একই দিন সকাল ১১টার দিকে একদল সেনা সদস্য উক্ত গ্রামে এসে দোকান, বিহার ও গ্রামের বিভিন্ন দিকের রাস্তার ম্যাপ এঁকে নিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক মুরুব্বী বলেন, “আমরা আর শান্তিতে ঘুমাতে পারছি না। রাত ঘনিয়ে এলেই আমাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। কখন কাকে গভীর ঘুম থেকে জেগে তুলে সেনারা হয়রানি শুরু করে দেয়। আমরা এলাকায় শান্তিতে থাকতে চাই।”
উল্লেখ্য, ইদানিং কাউখালীতে সেনাবাহিনী ও তাদের সৃষ্ট স্পাই-নব্য মুখোশ বাহিনীর দুর্বৃত্তরা মিলে দিনে-রাতে ঘন ঘন টহল ও তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হয়ে আসছে। তাতে নিরীহ লোকজনকে গাঁজা ও অস্ত্র গুজে দিয়ে জেলে অন্তরীণ করা হচ্ছে। এতে এলাকায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।