নিজস্ব প্রতিবেদক।। সেনাবাহিনী কর্তৃক ছাত্রনেতা রমেল চাকমা হত্যার ৫ বছর উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের বিচার ও পাহাড়ে অবৈধ সেনা শাসন তুলে নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল, ২০২২) দুপুর ১.৩০টার সময় খাগড়াছড়ি সদরের চেঙ্গি ব্রিজ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পেট্রোল পাম্পের সামনে এসে সমাবেশ করে।
এতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন পিসিপি’র জেলা সভাপতি নরেশ ত্রিপুরা ও সাধারন সম্পাদক শান্ত চাকমা।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত সেনা কর্মকর্তারা অপরাধ করলেও আইনের আওতায় এনে বিচার না করে বরং অপরাধকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদেরকে প্রমোশন দেয়া হচ্ছে। ফলে তারা বিচার বহির্ভুত হত্যাসহ অন্যায় নিপীড়ন-নির্যাতন করতে উৎসাহিত হচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, ২০১৭ সালে নান্যাচরে সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতন চালিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা রমেল চাকমাকে হত্যা করা হয়। এমনকি সেনারা রমেলের লাশ পর্যন্ত পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেনি, নিজেরা পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছিল। কিন্তু পাঁচ বছরেও এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মেজর তানভীর গংদের গ্রেফতার করা হয়নি।
বক্তারা অবিলম্বে রমেল চাকমা হত্যায় জড়িত মেজর তানভীর গংদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাশাসন প্রত্যাহারপূর্বক অন্যায় দমন-পীড়ন বন্ধ করা এবং বিচার বহির্ভুত হত্যাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত সেনাদের বিচারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল নান্যাচর উপজেলা সদর এলাকা থেকে নান্যাচর কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও পিসিপি’র নান্যাচর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক রমেল চাকমাকে নান্যাচর জোনের একদল সেনা সদস্য আটক করে। এরপর তাকে সেনা জোনে নিয়ে গিয়ে জোন কমাণ্ডার বাহালুল আলম’র নির্দেশে ও রাঙামাটি রিজিয়ের জি-টু মেজর তানভির এর নেতৃত্বে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে সেনারা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ এপ্রিল ’১৭ রমেল চাকমা মৃত্যুবরণ করেন।