চার নারী নেত্রীর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা (জিডি) খারিজের দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি।। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের রাঙামাটি কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে অংশ নেয়ার কারণে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি শোভা চাকমাসহ চার পাহাড়ি নেত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার অথবা খারিজের দাবি জানানো হয়েছে।

আজ ২৩ অক্টোবর ২০২২ (রবিবার) পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা এক যুক্ত বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছেন।

উক্ত চার নারী নেত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা উক্ত মামলাকে বাক ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার উপর নগ্ন হামলা এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিয়োজিত নেতাকর্মীদের প্রতি ভীতিপ্রদর্শনমূলক (Intimidation) আখ্যায়িত করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে অংশ নেয়া কোন অপরাধ হতে পারে না এবং বাংলাদেশের আইনেও তাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়নি। কিন্তু তা সত্বেও জনসংহতি সমিতির সাথে ষড়যন্ত্র করে প্রশাসনের একটি বিশেষ মহল শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের মতো সংবিধান-স্বীকৃত একটি গণতান্ত্রিক অধিকারকে ক্রিমিনালাইজ (অপরাধমূলক কাজ) করে এতে অংশগ্রহণকারী নিরপরাধ উক্ত নারী নেত্রীদের শাস্তি দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা অত্যন্ত জঘন্য ও নিন্দনীয়।’

কবি শামসুর রাহমানের কবিতার চরণ ধার করে বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘এক উদ্ভট উটের পিটে চলছে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম। যারা দিন দুপুরে খুন, অপহরণসহ বিভিন্ন ভয়ানক অপরাধ করে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো যারা সে সব অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে।’

এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে কখনও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না বলে তারা মন্তব্য করেন এবং অবিলম্বে চার নারী নেত্রী নীতিশোভা চাকমা, রূপসী চাকমা, সান্তনা চাকমা ও স্বপ্না চাকমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তি সৃষ্টিকারী ও ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের রূপকার সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণের দাবি জানান। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *