নিজস্ব প্রতিনিধি।। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ হলের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ৷
আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই ২০২২) সংগঠনের চবি শাখার কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক রাজেশ্বর দাশ গুপ্ত ও সদস্য সচিব শাহ মোহাম্মদ শিহাব এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, গত ১৭ জুলাই রাত সাড়ে নয়টায় এক শিক্ষার্থী তার বন্ধুসহ হলে ফেরার সময় ৫জন সন্ত্রাসী পথরোধ করে তাদের মারধর ও যৌন হয়রানি করে। তাদের মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। জোরপূর্বক ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা অপরাধীদের চিনতে না পারলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে ধারণা করছেন। এই ভয়াবহ ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না ৷ উপরন্তু যৌন নিপীড়নের শিকার ঐ শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ করতে গেলে তা গ্রহণে নানা গড়িমসি করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ৷ বিষ্ময়করভাবে অভিযোগ এড়িয়ে যেতে ভিকটিম ব্লেমিং করে বলেন, আক্রান্ত শিক্ষার্থী কেন রাতের বেলা বের হয়েছে!
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রক্টরের এমন দায়িত্বহীন ভূমিকা কার্যত যৌন নিপীড়নকে উৎসাহিত করবে ৷ শিক্ষার্থীরা রাতে নিরাপদ থাকবে না, কিন্তু যৌন নিপীড়করা নিরাপদে নিপীড়ন করতে পারবে এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। এই ধরণের ঘটনায় প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয়কে যৌন নিপিড়ণের অভয়ারণ্যে পরিণত করছে ৷
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের আন্দোলন ও ভিন্নমত দমনে প্রশাসনকে যতখানি সক্রিয় দেখা যায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তার শিকিভাগও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল থাকলেও এর কার্যকারীতা দৃশ্যমান হচ্ছেনা ৷ এমন ভয়াবহ ঘটনায় এত ঘন্টা পরও সিসিটিভি ফুটেজ থেকে এখনও অপরাধীদের সনাক্ত করা হয়নি। বস্তুত এই সামগ্রিক ঘটনার মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সংকটের দিকটি আরো প্রবলভাবে সামনে আসছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঘটনায় জড়িত সকল অপরাধীদের সনাক্ত, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান। অন্যথায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।