
নিজস্ব প্রতিনিধি।। আজ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি শহীদ রূপক চাকমার ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০১ সালের আজকের এই দিনে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউপিডিএফ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ চালানোর সময় খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার পুজগাঙের মধুমঙ্গল পাড়ায় জেএসএস-এর একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীর গুলিতে তিনি শহীদ হন। এ ঘটনায় মোহন চাকমা ও সুজিত চাকমা নামে আরও দু’জন গুরুতর আহত হন।
রূপক চাকমা বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। ছাত্রত্ব শেষ হবার পর তিনি ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক হয়ে শহীদ হবার আগ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত নির্যাতিত জনগণের অধিকার আদায়ের রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের উদীয়মান জুম্ম নেতৃত্বের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন রূপক চাকমা। তিনি কোন লোভ-লালসার কাছে বশীভূত না হয়ে জুম্ম জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। কিন্তু ঘাতক জেএসএস সন্ত্রাসীরা তাঁকে বাঁচতে দেয়নি।
রূপক চাকমা আজ বেঁচে না থাকলেও তিনি নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য যে চেতনা ধারণ করেছিলেন সে চেতনার কোন মৃত্যু নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন।
শহীদ রূপক চাকমার স্মৃতি রক্ষার্থে খাগড়াছড়ি সদরের নারাঙহিয়া রেডস্কোয়ারে তাঁর আবক্ষমূর্তি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যা ২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উন্মোচন করা হয়। অপরদিকে তাঁর সহপাঠি ও বন্ধুরা মিলে ‘কমরেড রূপক চাকমা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ গঠন করে কিছু গরীব ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করে যাচ্ছেন।