রাঙামাটিতে সেনা মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী কর্তৃক দুই জনকে অপহরণ ও এক ষাটোর্ধ ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি ২০২১) রাঙামাটির কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলার কেংড়াছড়ি ইউনিয়নে পৃথক পৃথকভাবে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
অপহৃত ব্যক্তিরা বিলাইছড়ির কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের শামুকছড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও মারধরের শিকার ব্যক্তির বাড়ি একই ইউনিয়নের নাড়াইছড়ি গ্রামে।
জানা যায়, শুক্রবার সকালের দিকে কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের শামুকছড়ি গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণ লাল চাকমা (৩২), পিতা-অজ্ঞাত পার্শ্ববর্তী কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই বাজারে গেলে অপহরণের শিকার হন। কাপ্তাই জেটিঘাট থেকে সন্ত্রাসীদের একটি দল তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ঐদিন বিকাল ৫টার দিকে সন্ত্রাসীরা অপহৃতের দুলাভাই পূণ্যলাল চাকমাকে (৪০) ফোন করে পূর্ণলাল চাকমার মুক্তিপণ হিসেবে ১,৫০,০০০ টাকা দাবি করে। এসময় সন্ত্রাসীরা দাবিকৃত উক্ত টাকা রবিবারের (৩১ জানুয়ারি) মধ্যে দিতে হবে বলে সময়সীমা বেঁধে দেয়, অন্যথায় অপহৃত পূর্ণ লালকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে অপহৃতের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন।
অপরদিকে, একই দিন রাতে উক্ত সন্ত্রাসীরা কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের শামুকছড়ি গ্রামের বাসিন্দা বিটুময় কার্বারীর দোকান কর্মচারীকেও অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে তার নাম জানা যায়নি।
এছাড়া সন্ত্রাসীরা একই দিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের নাড়াইছড়ি গ্রামের বাসিন্দা হাঁপানি রোগী দয়া লাল চাকমাকে (৬৫) বেদম মারধর করে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সন্ত্রাসীরা অবাধে অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের এমন অত্যাচারে এলাকার জনগণ আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।