ম্রোদের ৫ দফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচতারকা হোটেল-বিনোদন পার্ক নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামে ৪ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

ম্রোদের ৫ দফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচতারকা হোটেল-বিনোদন পার্ক নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামে ৪ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

ম্রোদের ৫ দফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং চিম্বুক পাহাড়ের ম্রোদের ভূমি বেদখল করে সিকদার গ্রুপ ও সেনাকল্যান ট্রাস্টের উদ্যোগে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়ে গনতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন এবং পার্বত্য নারী সংঘ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে পিসিপি সাধারণ সম্পাদক অমিত চাকমার সঞ্চালনায় যুব নেতা শুভ চাকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পিসিপি চবি শাখার দপ্তর সম্পাদক সোহেল চাকমা ও নগর নারী সংঘের সভানেত্রী রেশমি মারমা। সমাবেশে আরও সংহতি বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফেডারেশন নেতা কাজী আরমান, ছাত্র ইউনিয়ন চবি শাখার নেতা প্রত্যয় নাফাক, ছাত্র ফ্রন্ট মহানগর নেত্রী দিপা মজুমদার ও গনতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল নেত্রী এ্যনি চৌধুরী। সমাবেশ থেকে বক্তারা চিম্বুক পাহাড়ে ম্রোদের ভূমি বেদখল করে পর্যটন নির্মাণের যে প্রচেষ্টা তা বন্ধ করার জোর দাবি জানান। প্রত্যয় নাফাক বলেন, শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশে বসবাসরত বাঙালি ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে দেশ থেকে তাড়ানোর জন্য কৌশলে পর্যটনের নামে তাদের ভূমি বেদখল করছে।

কাজী আরমান বলেন, সরকার উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দিয়ে এবং পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের জন্য পর্যটনের নাম করে ভূমিদুস্যুতার মাধ্যমে তাদের উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে   পাহাড়ে সেনাবাহিনী কর্তৃক যে দমন-পীড়ন তা বন্ধ, পাহাড়িদের প্রথাগত ভূমি মালিকানা ফিরিয়ে দেয়া সহ ম্রোদের ৫ দফা দাবি মেনে নিয়ে পাহাড়ের জীব ও জনবৈচিত্র্য রক্ষা করার আহ্বান জানান।

বক্তারা গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী সেনা-গোয়েন্ডা পরিচালিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল পার্বত্যনিউজ এ “চন্দ্রপাহাড় রিসোর্টে স্থানীয় হাজার হাজার উপজাতিদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে” এই শিরোনামের সংবাদকে ঘৃন্যভরে প্রত্যাখ্যান করেন। তারা এটি সেনাবাহিনী ও সরকারের ছলচাতুরী বলে অভিহিত করেন।
উল্লেখ্য বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচ তারকা হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মিত হলে সেখানকার প্রায় ৮-১০ টি ম্রো গ্রাম উচ্ছেদ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *