নিজস্ব প্রতিনিধি।। “পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসন কায়েম কর, Stop Human Rights Violation in CHT” এই শ্লোগানে
মানবাধিকার লঙ্ঘনর বিরুদ্ধে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার টিমকে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির গুইমারায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) ও পার্বত্য নারী সংঘের নেতা কর্মীরা।
আজ রবিবার (১৪ আগষ্ট ২০২২) সকাল ১০টার সময় গুইমারা উপজেলা সদরে তিন সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল শেষে তারা সমাবেশ করেন।
সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দ্বারাজ চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পিসিপি নেতা অনিমেষ চাকমার ও পার্বত্য নারী সংঘের গুইমারা উপজেলার সদস্য মায়া মারমা।
সমাবেশ বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চুক্তির পরও আগের চাইতে একবিন্দুও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কমেনি। সেনাবাহিনীর তৎপরতা ও নিপীড়ন-নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে পাহাড়িরা আতঙ্কিত অবস্থায় দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছে। সেনাবাহিনী কখন কাকে ধরে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়, কখন কার বাড়িতে তল্লাশি চালায়, কখন কাকে হত্যা করে, কখন কার জমি বেদখল করতে সেটলারদের লেলিয়ে দেয়–সারাক্ষণ এমন দুশ্চিন্তায় এখন পাহাড়ি জনগণ। জনগণের ওপর এসব মানবাধিকার লঙ্ঘন নির্বিঘ্ন করতে সরকার ও সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের টিমকে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।
বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গণবিরোধী ১১ দফা নির্দেশনা জারির মাধ্যমে পাহাড়ে নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। গণবিরোধী এ নির্দেশনায় তারা পরিকল্পিতভাবে বিদেশীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যার ফলে আজকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানকে পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা সরকারের ফ্যাসিস্ট আচরণ ছাড়া আর কিছুই নয়।
বক্তারা অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অগণতান্ত্রিক ১১ নির্দেশনা বাতিল ও সেনাশাসন প্রত্যাহারপূর্বক পার্বত্য চট্টগ্রামে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ ও অবাধ তথ্য সংগ্রহের অনুমতি প্রদানের দাবি জানান।