
বিচার ও আইন বহির্ভুত হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে ইউপিডিএফভুক্ত তিন গণসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিন সংগঠনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে ভাইবোন ছড়া এলাকায় এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা দপ্তর সম্পাদক লিটন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী এন্টি চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুমন্ত চাকমা।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক ইউপিডিএফের ৫ জন নেতা-কর্মীকে বিচার বহির্ভুতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ইউপিডিএফ ছাড়াও পিসিজেএসএস’র বেশ কয়েকজন কর্মীও একই কায়দায় হত্যার শিকার হন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়েও ইউপিডিএফ ও জেএসএস-এর অসংখ্য নেতা-কর্মীকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় পার্বত্য চট্টগ্রামে কারা শান্তি চায় না, আর কারা জুম্মদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত উস্কে দিয়ে ফায়দা লুটতে চায়।’

তারা বলেন, ‘যদি কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তাহলে রাষ্ট্রের উচিত তাদের বিচারের আওতায় আনা। দেশের সংবিধানেও প্রত্যেক নাগরিকের ন্যায় বিচার লাভের অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা না করে কথিত গোলাগুলি ও ক্রসফায়ারের নামে বিনা বিচারে হত্যা সভ্য সমাজে ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
দেশে প্রত্যেক নাগরিকের সংগঠন ও রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে তিন সংগঠনের নেতারা প্রশ্ন করে বলেন, ‘তাহলে ২০০১ সাল থেকে প্রত্যেকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া গণতান্ত্রিক দল ইউপিডিএফ’র রাজনীতি করলে কেন অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে? কেন বিনা কারণে তাকে তার গণতান্ত্রিক ও সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে?’
তারা আদালত কর্তৃক জামিন প্রাপ্তদের জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করাকে আইন বহির্ভুত ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে এ ধরনের বেআইনী কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশ থেকে বক্তারা ইউপিডিএফকে নির্মূলের অংশ হিসেবে কথিত গোলাগুলি ও ক্রসফায়ারের নামে বিচার বহির্ভুত হত্যা, গ্রেফতার-নির্যাতন ও দমনপীড়ন বন্ধ করা এবং মিথ্যা মামলা-হুলিয়া তুলে নেয়ার জোর দাবি জানান।