পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহত নারী ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষক ও তাদের রক্ষক ক্ষমতাশালী দূর্বৃত্তদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (শ্রমজীবী ফ্রন্ট)।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪ টায় মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে টিএসসি ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে পিসিপির সাধারণ সম্পাদক সুনয়ন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শ্রমজীবী ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা ও পিসিপি সভাপতি বিপুল চাকমা।
বক্তরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিগত কয়েক দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে যেভাবে নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে তা উদ্বেগজনক এবং পরিকল্পিত বলে মনে হয় । শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণকে জাতিগত নিপীড়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কারণে অপরাধের পর অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। যেভাবে অপরাধের ঘটনাগুলো পর পর ঘটছে এবং অপরাধীরা পার পাচ্ছে তাতে বুঝা যায় যে প্রশাসনের সরাসরি ইন্দন ও মৌন সমর্থন ছাড়া সম্ভব নয়।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি ফলে নারী নিপীড়ন পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ক্রমাগত বাড়ছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত যত ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে তাতে কোনো ঘটনার বিচার হয়নি। এই বিচার না হওয়ার কারণে অপরাধীরা বারবার একই অপরাধ সংঘটিত করার সাহস পাচ্ছে । এর নেতিবাচক প্রভাব সমতলেও সমানভাবে পড়ছে।
১৯৯৬ সালে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা লে: ফেরদৌস কর্তৃক অপহরণের বিচার হলে অপরাধের তালিকা এত লম্বা হতো না। সম্প্রতি বান্দবানের লামা উপজেলায় এক পাহাড়ি নারী, খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে এক স্কুল পড়ুয়া পাহাড়ি ছাত্রী এবং সাজেক ও পানছড়ির মরাটিলায় নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোনটিই সেভাবে পত্র পত্রিকায় আসেনি। বরং প্রশাসন বরাবরই এসব ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রচেষ্টা করে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
বক্তরা অভিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নারী ধর্ষণ ও নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।