দীঘিনালায় সেনাবাহিনী কর্তৃক গৃহ নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে বাধাদানের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক।। সেনাবাহিনী কর্তৃক বাবুছড়া ইউনিয়ন ও দীঘিনালা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে গৃহ সামগ্রী পরিবহনে বাধাদানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও দীঘিনালা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

আজ রবিবার (৬ নভেম্বর ২০২২) সকাল ৯:২০ টায় বাবুছড়া নুয়োবাজার থেকে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বাবুছড়া মুড়োপাড়া চৌমুহনী রাস্তা ঘুরে কিয়াংঘাট বাবুছড়া মূখ উচ্চ বিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে আবার বাবুছড়া নুয়োবাজার চৌমুহনী সংলগ্ন বাজারে এসে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। 

এ সময় এলাকাবাসী বিভিন্ন দাবি সম্বলিত শ্লোগান দেন ও ব্যানার-প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এতে এলাকার দুই সহস্রাধিক নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন।

‘জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দাও’ শ্লোগানে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষ জীবন চাকমা।

এতে বাবুছড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার নিপন চাকমার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ৪নং দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রজ্ঞান জ্যোতি চাকমা, দীঘিনালা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক দীপুলাক্ষ চাকমা, সমাজকর্মী অলকেশ চাকমা, বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার প্রতিভা চাকমা, বাবুছড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার গগণ বিকাশ চাকমা, মুড়ো পাড়া গ্রামের কার্বারি জ্ঞান মুনি চাকমা ও সাধন চাকমা প্রমুখ।

সমাবেশে দীঘিনালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রজ্ঞান জ্যোতি চাকমা বলেন, ২০১৯ সালের প্রথম দিকে হঠাৎ করে গৃহনির্মাণ সামগ্রী আনতে গিয়ে সেনাবাহিনী বাধা দেয়া শুরু করে। এর পর থেকে এই এলাকার জনগণ খুবই কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমরা জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বীরা জোন কমান্ডারের কাছে গিয়েছি, জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়ে তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু সরকার আমাদের কোন প্রতিকারমূলক উদ্যোগ নেয়নি। তার কারণেই আজকে আমরা এই বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়েছি। সরকার যাতে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রতাহার করে এলাকার জনগণকে দুর্দুশা মুক্তি দেয় তার জন্য আমরা এই সমাবেশ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সাবেক চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা বলেন, সেনাবাহিনী কর্তৃক বাধা প্রদানের কারণে আমরা গৃহনির্মাণ সামগ্রি আনতে পারছি না। আমাদের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমাদের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি শুধু বাঙালি জাতির প্রধানমন্ত্রী নন, বাংলাদেশের সকল জনগোষ্ঠির প্রধানমন্ত্রী। আপনি জানেন, সেনাবাহিনীর বাধার কারণে আমরা ঘর নির্মাণের জন্য কোন মালামাল আনতে পারছি না। তার জন্য আজকে আমরা এই প্রতিবাদ করছি। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মিটিং-মিটিং করে যাবো।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র হলো একটি জাতিকে নিধন করার জন্য। আমরা কি দোষ করেছি? আমরা ডিসির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে যে স্মারকলিপি দিয়েছি তার উত্তর এখনো পাচ্ছি না কেন?

তিনি বলেন আমরা অধিকার আদায়ের জন্য যা কিছু করা দরকার তাই করবো। আমাদের অধিকার আমরা আনবোই আনবো। এই বাধা আমরা অতিক্রম করবোই।

অলকেশ চাকমা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে দেশের সকল জাতিসত্তা, সকল জনগোষ্ঠি, সকল শ্রেণী, সকল সম্প্রদায় সমান অধিকার ভোগ করবে। যখন আমাদেরকে এখানে ইট, সিমেন্ট নিতে দেওয়া না হয়, বাধা প্রদান করা হয় তখন আমরা মনে করি এটা সুস্পষ্টভাবে আইনের লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কারণ এখানে শুধুমাত্র আমরা যারা পাহাড়ি জনগোষ্ঠির লোক আছি, পাহাড়ি জাতিসত্তার লোক আছি আমাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে, হেনস্থা করা হচ্ছে, অপদস্থ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের এদেশে জায়াগা দেয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে মানবতার মা আখ্যা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই মানবতার মায়ের কাছে বাবুছড়াবাসীর কোন দাম নেই, কোন গুরুত্ব নেই। আমরা বিমাতাসূলভ আচরণ পাচ্ছি। রোহিঙ্গাদের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়, ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়। আমাদের এই বাবুছড়া থেকে অনেক বাঁশ নিয়ে যাওয়া হয় রোহিঙ্গাদের বসতবাড়ি নির্মাণ করার জন্য। কিন্তু যারা এখানকার ভূমিপুত্র, এখানকার সন্তান তারা ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে পারি না। আমরা কোন নির্মাণ সামগ্রী আনয়ন করতে পারি না। আমাদেরকে হেনস্থা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, আমরা কোন বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন সংস্থার বিরুদ্ধে বলতে আসি নাই। আমরা আইনের কথা বলতে এসেছি। আমাদেরকে দেখিয়ে দিতে হবে বাংলাদেশের কোন আইনে, কোন বিধানে, কোন ধারায় উল্লেখ আছে যে, একটি এলাকাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে, একটি এলাকাবাসীকে অবরুদ্ধ করে রাখা যাবে, কোন জনগোষ্ঠিকে ঘরছাড়া করে রাখা হবে, ঘর তুলতে দেওয়া হবে না, বিহার নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না, সংস্কার করতে দেওয়া হবে না। এটা আমরা জানতে চাই। যদি এটা দেখিয়ে দেওয়া না হয় তাহলে সরকারকে স্বীকার করতে হবে যে আমাদের উপর যা হচ্ছে এটা বেআইনি, এটা অবৈধ। এই বেআইন কার্যক্রম ও নিপীড়ন নিরসন না হওয়া পর্যন্ত আমরা জনগণ রাজপথে থেকে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই প্রতি ইঞ্চি জায়গা আবাদ করার কথা বলেন। কিন্তু আমাদের সাথে যদি এই আচরণ করা হয় তাহলে আমরা আমাদের চাষাবাদ, কৃষি কার্যক্রম কিভাবে করবো?

অলকেশ চাকমা আরো বলেন, এই এলাকার মানুষ অন্য কোন জায়গা থেকে আসে নাই। আজকে এই সমাবেশে যারা এসেছেন তারা সবাই ভুক্তভোগী, নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার। তারা তাদের মনের কথাগুলো বলতে এখানে এসেছেন। তিনি বলেন, এই বিষয়ে প্রতিকারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঐ স্মারকলিপির প্রতিউত্তর আমরা এখনো পাই নাই। যতক্ষণ পর্যন্ত এর সুদুত্তর পাওয়া যাবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিভা চাকমা বলেন, আমরা বাবুছড়া ও দীঘিনালা ইউনিয়নের জনসাধারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোন সুদুত্তর নাই। আজকে এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে আমরা জানতে চাই, আমরা কি অপরাধ করেছি, আমরা কি বাংলাদেশের নাগরিক নয়? বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের আছে কি নাই সরকারের কাছে আমরা এই জবাব চাই। 

তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের কারোর বিরুদ্ধে কথা বলতে বা কাউকে হেনস্থা করতে এখানে আসি নাই। আমরা চাই আমাদের ন্যায্য অধিকার, আমাদের ন্যায্য দাবি আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার। আমাদের খেটে খাওয়া মানুষগুলো একটা ঘর নির্মাণ করে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে না পারলে বাংলাদেশে কী উন্নয়ন হবে? তিনি এমন প্রশ্ন রাখেন।

তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্বাধীনভাবে চলার অধিকার পাবো না, স্বাধীনভাবে ঘর নির্মাণ করার অধিকার পাবো না, একটা বিহার নির্মাণ বা মেরামত করার অধিকার পাবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা একতাবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এ জন্য সবাইকে নিজ নিজ অধিকার আদায়ে আন্দোলনে সমিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

দীপুলাক্ষ চাকমা বলেন, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সংরক্ষণ করার দায়িত্ব সরকারে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাসস্থান। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও বাবুছড়া ইউনিয়ন ও দীঘিনালা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জনগণ যদি বাসস্থান নির্মাণের জন্য নির্মাণ সামগ্রী আনতে না পারি তাহলে এটা কি নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন নয়? কাজেই যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কথা বলবো, কথা বলেই যাবো।

তিনি বলেন, আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও এই এলাকার জনগণকে গৃহসামগ্রী আনতে বাধা দেয়া নিপীড়ন ছাড়া আর কিছুই নয়। কেন আমাদের সাথে এমন আচরণ করা হচ্ছে আমরা সরকার-প্রশাসনের কাছ থেকে এর সঠিক জবাব পেতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ। আমাদের ৩/৪ বছর পর পর ঘর তুলতে হয়। বিল্ডিং নির্মাণের সামর্থ্য আমাদের নেই। আমরা গাছ-বাঁশ দিয়ে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে থাকি। আমরা যদি এক বান্ডিল টিন আনতে যাই, এক বস্তা সিমেন্ট আনতে চাই তাহলে বাধা দেয়া হচ্ছে, হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। আমরা সরকারকে কর দিয়ে নাগরিকের দায়িত্ব পালন করি কিন্তু সরকার নাগরিকদের প্রতি তার দায়িত্ব পালন না করে বৈষম্যমূলক আচরছ করছে। তাহলে আমরা কোন দেশে বসবাস করছি?

তিনি বলেন, আমরা সরকার বা কোন বাহিনীর বিরুদ্ধে আজকে এখানে সমাবেশ করছি না, আমরা আমাদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য এবং সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বসবাস করার অধিকারের জন্য এই সমাবেশ করছি। 

তিনি অবিলম্বে গৃহসামগ্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। 

গগণ বিকাশ চাকমা বলেন, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও নিপীড়িত-নির্যাতিত। ২০১৯ সাল থেকে সরকার আমাদের বাবুড়া ইউনিয়ন ও দীঘিনালা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে গৃহ সামগ্রি আনয়নে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে আমরা গত ২৪ মে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু এখনো এর কোন প্রতিউত্তর নেই। তাই আমাদের আর ধৈর্য্য ধরার মতো অবস্থা নেই। আমাদের অধিকার আমাদেরকে আদায় করতে হবে। এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি গৃহসামগ্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে আগামীতে আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে বাবুছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সন্তোষ জীবন চাকমা বলেন, ২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকে আমি এমপি, জোন কমাণ্ডার, ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান ও এসপি’র কাছে গিয়ে জনগণের সুখ-দুঃখের কথা বলেছি। কিন্তু কোন কার্যক্রর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ আমরা জেলা প্রশাসকের মাধমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিযেছি। জেলা প্রশাসক অতিসত্ত্বর স্মারকলিপিটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারও কোন সুদুত্তর মিলেনি।

তিনি এলাকার জনগণের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ‍“গৃহ নির্মাণ সামগ্রী নিতে বাধা দেয়া চলবে না; ঘর-বিহার নির্মাণে বেআইনি বাধা মানি না; দীঘিনালা-বাবুছড়ায় জুম্ম উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র বন্ধ কর; ঘর মেরামতে বাধা কেন, জবাব চাই; বিহার সংস্কারে বাধা কেন, জবাব চাই; সাধনা টিলা বনবিহারের জমিতে সেটলার পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র বন্ধ কর; পাহাড়িদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বন্ধ কর; দীঘিনালায় ভূমি বেদখলের ষড়যন্ত্র বন্ধ কর; ঘর-বিহার নির্মাণ-মেরামতে সেনা নিয়ন্ত্রণ মানি না; ইত্যাদি শ্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *