নিজস্ব প্রতিনিধি।। জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি লুন্ঠন দুর্নীতি হত্যা-সন্ত্রাস রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। এতে বক্তারা আইএমএফ-এর ঋণ পাওয়ার শর্ত পূরণে সরকার জ্বালানী তেলের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
আজ শনিবার (৬ আগস্ট ২০২২) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাঙলাদেশ লেখক শিবিরের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল,বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার,পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা। সমাবেশ পরিচালনা করেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ঢাকা অঞ্চল সংগঠক হেমন্ত দাষ।
জ্বালানী খাতে সরকারের ভ্রান্ত নীতি,অদক্ষতা ও লাগামহীন দূর্নীতির কারণে বর্তমান সংকটজনক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে উল্লেখ করে সভার সভাপতি ফয়জুল হাকিম বলেন, আইএমএফ-এর ঋণ পাওয়ার শর্ত পূরণে সরকার জ্বালানী তেলের দাম বাড়িয়েছে। এর ফলে এখন জনগণের সঞ্চয় ও সম্পদ বিপুল পরিমানে রাষ্ট্রের কোষাগারে চলে যাবে। সেখান থেকে টাকা বন্টিত হবে সামরিক-বেসামরিক আমলা,ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের পকেটে।ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে তিনি জনগণের প্রতি আহবান জানান।
কাজী ইকবাল বলেন, সরকারের উন্নয়নের জারীজুরী ফাস হয়ে গেছে।পদ্মা সেতু উদ্বোধনের নামে এই সরকার জনগণের শত শত কোটি টাকার অপচয় করেছে।
মিতু সরকার ভোলায় বিদ্যতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিরোধী দল বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও দুই জন নেতা-কর্মীকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, হত্যা করে কোনো ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমন করা যায়না।
অমল ত্রিপুরা বলেন আন্তর্জাতিক বাজারে যখন জ্বালানী তেলের দাম কমতে শুরু করেছে সেসময় সরকার জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণের ওপর হামলা চালিয়েছে।