পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গুইমারা এলাকাবাসী।
আজ বুধবার (২৮ অক্টোবর ২০২০) সকাল সাড়ে ১০টায় ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে লং মার্চের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং ফেনীতে পাহাড়ি কিশোরী ধর্ষণ ও গ্রেফতারকৃত ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি সম্বলিত ব্যানারে গুইমারা বাজারে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এরপর তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে গুইমারা এলাকার বাসিন্দা শুভ চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গুইমারা এলাকার প্রগতিশীল ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি অনিল চাকমা, গুইমারা উপজেলা নারী সংঘের পক্ষ থেকে দোয়ে চাকমা ও গুইমারা উপজেলার যুব সংঘের পক্ষ থেকে ক্যামেরন চাকমা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে নারী ধর্ষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। কর্মস্থল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নিজ বাড়িতেও নারীরা ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। দেশব্যাপী ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের পরও ধর্ষণ থামছে না। বিচারহীনতা ও সরকারের ক্ষমতাশালী লোকজনের অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দানের কারণে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, সরকার আন্দোলনের চাপে পড়ে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বিধান রেখে আইন সংশোধন করলেও ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করছে। গত ১৭ অক্টোবর ফেনীতে ঢাকা টু নোয়াখালীতে যাওয়া লংমার্চের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় সরকারী দলের ক্যাডার ও পুলিশ বাহিনী হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে ১৮ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে বান্ধবীর বাসায় যাবার সময় সেই ফেনীতেই এক পাহাড়ি তরুণী দুই দফায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ধর্ষণ, নিপীড়ন বন্ধ করা, ধর্ষণবিরোধী লংমার্চে হামলকারীদের আইনের আওতায় আনা এবং ফেনীতে পাহাড়ি তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ধর্ষকদেরসহ সকল ধর্ষকদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।