কুমিল্লা ও রংপুরের পীরগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারী দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাঙামাটির কুদুকছড়িতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্গ্রাম পাহাড় ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ।
আজ শনিবার (২৩ অক্টোবর ২০২১) অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তনুময় চাকমার সঞ্চালনায় ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক ধর্মশিং চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সদস্য রিতি চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের জেলা ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক লিলা চাকমা।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা দিতে বার বার ব্যর্থতার প্রমান দিচ্ছে। দেশে সংখ্যালঘু জাতির মানুষরা প্রতিনিয়ত নিপীড়ন-নির্যাতনসহ নানা বঞ্চনার হচ্ছে। এ সরকার সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রেখে দেশটাকে একটি ইসলামিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। যা সম্প্রতি কুমিল্লা, নোয়াখালীর চৌমুহনী, রংপুরের পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সময় পূজা মন্ডপ-মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লটপাট তারই প্রমাণ বহন করে।
বক্তরা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত ডজনের অধিক গণহত্যা ও অসংখ্য সাম্প্রদায়িক হামলা সংঘটিত করা হয়েছে। শত শত পাহাড়ি পরিবার নিজ জায়গা-জমি থেকে উচ্ছেদের শিকার হয়েছেন। এই ধারাবাহিকতা এখনো চলমান রয়েছে। শুধু তাই নয়, পাহাড়ি জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমন করতে জারি রাখা হয়েছে সেনাশাসন। এর মাধ্যমে পাহাড়িদের ওপর প্রতিনিয়ত জুলুম-নিপীড়ন চালাানো হচ্ছে।
বক্তারা অবিলম্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রদায়িক হামলাকারী ও তাদের মদদদাতাদের গ্রেফতারপূর্বক উপযুক্ত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, পার্বত্য চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া সকল সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার এবং পাহাড় ও সমতলে বসবাসকারী সকল সংখ্যালঘু জাতি ও জনগণের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করার দাবি জানান।