রিজভী: শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা প্রশাসনে অবস্থান নিয়ে গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করছে

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে পালিয়ে গেলেও তার রেখে যাওয়া প্রেতাত্মা এবং দোসররা এখনও প্রশাসনে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজপাড়ায় বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ বিন আশরাফ নাবিলকে শুভেচ্ছা জানাতে এসে এসব মন্তব্য করেন রিজভী।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যেসব নিষ্ঠুরতা এবং রক্তপাত ঘটানো হয়েছে, তাদের দায়ে যে সব নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা জড়িত, তাদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পাসপোর্ট দপ্তর থেকে তাদের পাসপোর্ট দেয়ার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা এই কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে লিপ্ত রয়েছে।

রিজভী আরও বলেন, জনগণের কাছে কোনো শক্তি নেই, যত ষড়যন্ত্র করা হোক, তারা পরাজিত হবে এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে দেশ পরিচালিত হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির একটি মৌলিক অংশ হচ্ছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা শেখ হাসিনার শাসনামলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, এবং এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

নাবিল সম্পর্কে রিজভী বলেন, কিশোর বয়সে তার উদ্ভাবনী চিন্তা এবং প্রতিভা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তার গার্ডিয়ান এঞ্জেল অ্যাপের মাধ্যমে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ডিজিটাল সমাধান প্রদানের কাজ দেশকে উপকৃত করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা, জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক খোকন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

এছাড়া, শিক্ষার্থী নাবিলকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *