প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে ১০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন, যার মধ্যে ছিলেন এক সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা। একই সাথে, ৩০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাক্ষ্যদানকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার রিয়াদ মাহমুদ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওসমান গনি, এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রেজিস্ট্রার মিঠুন চন্দ্র বালা ও নাহিদ হোসেন।
গত ৩১ জুলাই আদালত ৬টি পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং পরিবারের ৭ সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। প্রথম দিনে ৩ মামলায় ৩ বাদী সাক্ষ্য দেন, ২৬ আগস্ট ১৭ জন এবং ৪ সেপ্টেম্বর ১৮ জন সাক্ষ্য দেন।
দুদক গত জানুয়ারিতে এই মামলাগুলো দায়ের করে, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), শেখ রেহানা, তার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক এবং আরও অনেককে আসামি করা হয়। সব মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে, তবে বেশ কিছু আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার পরিবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ৬টি প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ নিয়েছেন, যদিও তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না।