পালিয়ে গেলেও হাসিনার সন্ত্রাস থামছে না: প্রেস সচিব


সন্ত্রাসের জননী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম থামাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসের জননী হাসিনা ১৩৭ শিশুসহ সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করার পরও গণআন্দোলনে টিকতে না পেরে দেশ ছেড়ে গেছেন। তবে পালিয়ে গেলেও তার সন্ত্রাস থামছে না।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে ফেসবুকে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পলাতক নেতাদের উসকানিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা কায়দায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে জনমনে নতুন করে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলছে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘১৯৭১ সালে লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে শুরু থেকেই একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলোচনায় এসেছে আওয়ামী লীগ। সবশেষ দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থাকে বুকের রক্ত দিয়ে চ্যালেঞ্জ করে এদেশের মুক্তিকামী শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও জনতা আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছে। সন্ত্রাসের জননী শেখ হাসিনা ১৩৭ শিশুসহ সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করার পরও গণআন্দোলনে টিকতে না পেরে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তবে পালিয়ে গিয়েও তার সন্ত্রাস থামছে না।’

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘বর্তমানে দেশ যখন একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে এগোচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই তা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের ভালো লাগার কথা না। দলটি গত কয়েকদিন ধরে অনলাইনে ও অফলাইনে তারই বহিপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এই চোরাগোপ্তা সন্ত্রাস দেশের মানুষকে ভীত করতে পারবে না। ইতোমধ্যে নাশকতার সঙ্গে জড়িত এবং নাশকতার পরিকল্পনায় সরাসরি সম্পৃক্ত বেশ কিছু আওয়ামী নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকার এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে রয়েছে, নাগরিকরা সজাগ রয়েছে।’

প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে গুম, খুন ও নাশকতার রাণী শেখ হাসিনা ও তার দল আবারও প্রমাণ করেছে যে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা কতটা যৌক্তিক ছিল। পলায়নের পর থেকে এখন পর্যন্ত হাসিনা এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা যে ধরনের বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছে, তার সবকটিই সন্ত্রাসকে উস্কে দেওয়ার উদ্দেশ্যে, রাজনীতিতে ফেরার ন্যূনতম অভিপ্রায়ও এর মধ্যে প্রকাশ পায় না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *