কুমিল্লার ৫টি সংসদীয় আসনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, এবং এ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অব্যাহত রয়েছে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩৯টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে খসড়া প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে কুমিল্লার ১১টি আসনের মধ্যে ৫টি আসনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। বেশিরভাগ স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ এই পরিবর্তনকে অযৌক্তিক বলে মনে করছেন।

ইসি প্রকাশিত খসড়া অনুযায়ী, কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের তিনটি উপজেলাকে ভেঙে তিনটি আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি আসন থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছে।

৩০ জুলাই, নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করার কথা জানান। এর মধ্যে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো এবং বাগেরহাটে একটি আসন কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ৩৯টি আসনের সীমানায় ছোটখাটো পরিবর্তনের প্রস্তাব এসেছে এবং ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি জানানো যাবে।

কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস), কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা), কুমিল্লা-9 (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) এবং কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সীমানায় বড় পরিবর্তন হয়েছে। কুমিল্লা-১ আসনে দাউদকান্দি ও মেঘনাকে একত্রিত করা হয়েছে, আর কুমিল্লা-২ আসনে হোমনা ও তিতাসকে একত্রিত করা হয়েছে।

এই পরিবর্তন নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ক্ষুব্ধ এবং কুমিল্লা-২ আসনের সীমানা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে তারা হুমকি দিয়েছে, যদি ১০ আগস্টের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হয়, তবে তারা কঠোর আন্দোলন করবে।

এছাড়া, কুমিল্লা-৯ আসনে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের মধ্যে সীমানা পরিবর্তন নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন যে, এই আসনটি বিভক্ত করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল না এবং তারা ইসির সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন। ২ আগস্ট, লাকসাম বাইপাস এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্থানীয়রা এই পরিবর্তনকে এক ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *