প্রসবের সন্তান বদলে ফেলার অভিযোগে মামলা, পটিয়ার ওসিকে শোকজ

চন্দনাইশ দক্ষিণ কাঞ্চননগরের সুমন শীলের স্ত্রী রুনা শীলকে প্রসবের পর ছেলে সন্তান বদলে ফেলে মেয়ে সন্তান বুঝিয়ে দেয়ার অভিযোগে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৯ অক্টোবর মামলা দায়ের করেছেন রুনা শীলের স্বামী সুমন শীল। মামলায় পটিয়া নিউরন হাসপাতালের ডা. নওসীন, নার্স থিম চাকমা, ওয়ার্ড বয় চন্দন ও মাসি কাকলিকে আসামী করা হয়।

মামলাটি আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট তাররাহুম আহমেদ পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুজ্জামানকে শোকজ করে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইতে প্রেরণ করেন। পিবিআই-কে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট তাররাহুম আহমেদ সরেজমিনে নিউরন হাপসাতালে গিয়ে অভিযুক্তদের সাথে পৃথক পৃথকভাবে কথা বলেন।

এদিকে আজ সোমবার থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুজ্জামান শোকজের জবাবে ভিকটিমের স্বজনদেরকে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনকে বিষয়টি অবহিত করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেছেন, হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ নিলে তারা আন্দোলনে যেতে পারেন, মানুষ সেবা বঞ্চিত হতে পারে বিধায় তিনি আদালতে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান।

মামলার কৌঁসুলী এডভোকেট শাহীন আকতার জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর চন্দনাইশ দক্ষিণ কাঞ্চননগরের রুনা শীল ছেলে সন্তান প্রসব করেন। তাকে তার শিশুকে কোলে না দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায়। পরে তাকে কন্যা সন্তান হয়েছে বলে একটি কন্যা সন্তান বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে রুনা শীলের স্বামী সুমন শীল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে ৯ সেপ্টম্বর ও ১৬ অক্টোবর দুই দফায় থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে ডিউটি অফিসার অভিযোগ গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চ্যলের সৃষ্টি হয়েছে। রুনা শীলের ১টি ছেলে ও ১টি মেয়ে রয়েছে বলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *