টানা কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপরে উঠে গেছে, ফলে রংপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রংপুরের গংগাচড়া এবং কাউনিয়া উপজেলার নিচু এলাকাগুলোর বাড়িঘরে পানি প্রবাহিত হয়েছে এবং এখানকার শাকসবজি, রোপা আমন ও বীজতলা তলিয়ে গেছে। বেশ কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম ১৩ আগস্ট সকাল ১০টায় পানির বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পানির উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সকাল ৬টায় ১০ সেন্টিমিটার, এবং সকাল ৯টায় ১৫ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় বসতবাড়ি, গবাদিপশুর চারণভূমি এবং খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী, গজঘন্টা ও মর্ণেয়া ইউনিয়ন, কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া, টেপামধুপুর ইউনিয়ন এবং পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, গঙ্গাচড়া মহিপুরে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত সড়ক সেতুর পশ্চিম তীরে সেতু রক্ষা বাঁধের ৭০ মিটার অংশ ধসে পড়ে, এতে গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সেতু ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা জানিয়েছেন, বন্যার কারণে তিস্তার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং আজ সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করে সহায়তা প্রদান করা হবে।