সুন্দর, পরিষ্কার ও দাগহীন ত্বক পেতে ফলমূল খাওয়ার বিকল্প নেই। বিশেষ করে আপেল—যা অনেকেই ‘স্কিন-ফ্রেন্ডলি’ ফল হিসেবে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখেন। অনেকের বিশ্বাস, নিয়মিত আপেল খেলে কপাল ও গালের ব্রণ কমে যায়। কিন্তু সত্যিই কি আপেল ব্রণ দূর করতে পারে?
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস–এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. প্রিয়াঙ্কা কুরি এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আপেল কীভাবে ত্বকে কাজ করে
ডা. প্রিয়াঙ্কা বলেন, আপেল, স্ট্রবেরি ও বিভিন্ন বেরি ধরনের ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
এগুলো—
- ত্বকের ভেতরের প্রদাহ কমায়
- ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে
- অকালবার্ধক্য প্রতিরোধ করে
- স্কিন ব্যারিয়ারকে শক্তিশালী করে
আপেলে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, ফলে ত্বক হয় আরও টাইট, উজ্জ্বল ও মসৃণ।
আপেল কি ব্রণের নিশ্চিত সমাধান?
বিশেষজ্ঞের মতে, আপেল উপকারী হলেও এটি কোনো জাদুকরী ফল নয়। শুধুমাত্র আপেল খেলে ব্রণ সম্পূর্ণ দূর হবে—এমনটা নয়।
কারণ ব্রণ হওয়ার পেছনে—
- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
- স্ট্রেস
- ত্বকের অতিরিক্ত তেল
- অপরিচ্ছন্নতা
- অনিয়মিত ঘুম
- ভুল স্কিনকেয়ার
এগুলো বড় ভূমিকা রাখে। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি।
কপাল ও গালের ব্রণে আপেল কীভাবে সহায়ক
ডা. প্রিয়াঙ্কা জানান, নিয়মিত আপেল খেলে কপাল, গাল ও টি–জোনের ব্রণ কিছুটা কমতে পারে।
চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে—
• কাঁচা আপেলের পেস্ট ব্রণের জায়গায় লাগানো যেতে পারে।
এটি–
- প্রদাহ কমায়
- ত্বক শীতল করে
- ব্রণের লালভাব কিছুটা হ্রাস করে
তবে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পিগমেন্টেশন ও উজ্জ্বলতা বাড়াতেও কার্যকর
আপেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া এটি—
- দাগ–ছোপ হ্রাস করে
- ত্বকে প্রাকৃতিক গ্লো আনে
নিয়মিত ফল খাওয়া ও হাইড্রেটেড থাকা ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।
কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে
দীর্ঘদিন ব্রণ না কমলে বা হরমোনজনিত সমস্যা সন্দেহ হলে অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধুমাত্র খাবার বদলে—সব ধরনের ব্রণ পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়।