এবিসি জুস শরীরের জন্য কতটা উপকারী?

গোটা বিশ্বেই এখন এবিসি জুস বেশ জনপ্রিয়।  আপেল, বিট এবং গাজরের রস একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই জুস। এ কারণেই এই জুসের নাম সংক্ষেপে এবিসি।  অনেকেই সুস্থ থাকতে আজকাল নিয়মিতই এই জুস পান করেন। এই জুসে অনেক গুণ রয়েছে। চলুন জেনে নিই এই জুসের স্বাস্থ্য উপকারিতা-

১. এবিসি জুস লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বডি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। 

২. রক্তচাপ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ কারণে এই জুস হৃৎপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী।

৩. চুল পড়ার সমস্যা কমায় এবিসি জুস। এছাড়াও চুলের গোড়া মজবুত করে, যার ফলে চুলের গঠন শক্ত হয়। নতুন চুল গজাতেও কাজ করে এই জুস। এর পাশাপাশি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, অকালে চুল পাকা রোধ করতে খেতে পারেন এই জুস। 

৪. ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এবিসি জুস। ত্বকের অনেক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল দেখতে কালচে লাগা এবং যখন তখন ব্রণের সমস্যা। এই দুই সমস্যাই কম সময়ে দূর করার জন্য এবিসি জুস আদর্শ। যেহেতু এই জুস খেলে আমাদের শরীর ডিটক্সিফাই হয়ে যায়, তাই ভিতর থেকে শরীরে পরিষ্কার থাকে। এর ফলে ব্রণের সমস্যা কম হয়। ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়ে। 

যেভাবে তৈরি করবেন: তিন সবজি ব্লেন্ডারে পিষে রস বের করে নিন। খাওয়ার আগে ভালো ভাবে ছেঁকে নিন। স্বাদের জন্য অল্প বিট লবণ এবং গোলমরিচের গুঁড়োও মিশিয়ে নিতে পারেন। রোজই এই জুস খাওয়া যায়। তবে খালি পেটে না খাওয়াই ভাল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *