পাঁচ বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ভারতে প্রথমবার সফর করেন, তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়, এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্ক ছিল বেশ শক্তিশালী। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আহমেদাবাদে ট্রাম্পের ‘নমস্তে ট্রাম্প’ জনসমাবেশে লাখো মানুষ তাকে স্বাগত জানিয়েছিল। তবে সেই বছরের জুনে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে, লাদাখে চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়, এবং ভারত চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে শুরু করে।
বর্তমানে, ভারত ও চীনের সম্পর্ক নতুন করে উষ্ণ হতে শুরু করেছে। ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও বিভিন্ন ভূরাজনৈতিক কারণে, ভারত চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টা করছে। সম্প্রতি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং দুই দেশের সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল উন্নতির’ দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
ভারত-চীন সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে, এবং মোদি চীনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সম্মেলনে যোগ দেবেন, যা তার সাত বছরের মধ্যে প্রথম চীন সফর হতে চলেছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই সম্পর্ককে ‘ড্রাগন-হাতির নৃত্য’ বলে বর্ণনা করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি এবং পাকিস্তানের প্রতি ইতিবাচক মনোভাবের কারণে ভারত চীনকে প্রতিদ্বন্দ্বী কমানোর চেষ্টা করছে। বাণিজ্যিক দিক থেকেও ভারত-চীন সম্পর্ক শক্তিশালী হতে পারে, কারণ চীন ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
তবে, কোয়াডের ভবিষ্যত সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উঠছে। ভারত চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করলে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এশিয়া-প্রশান্তিক অঞ্চলে ভারতকে সমর্থন পাওয়া আগের মতো সহজ হবে না, এবং কোয়াডের ভেতরে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে।