সীমান্তে পাকিস্তান-আফগানিস্তান তুমুল গোলাগুলি

পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্তে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন উভয় দেশের কর্মকর্তারা। খবর বিডিনিউজের।

দিনকয়েক আগে ব্যর্থ শান্তি আলোচনার পর তুমুল উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার রাতে বেশ কয়েকঘণ্টা এ গোলাগুলি চলে। গোলাগুলি শুরু হওয়ার পর রাতেই সীমান্তবর্তী আফগান শহর স্পিন বোলডাক ছেড়ে পালান বাসিন্দারা। স্থানীয় হাসপাতাল চারজনের মৃতদেহ পেয়েছে বলে কাছাকাছি শহর কান্দাহারের একটি মেডিকেল সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে।

পাকিস্তানেও তিনজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আফগান তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, পাকিস্তানি বাহিনীই প্রথম কান্দাহার প্রদেশের বোলডাক স্পিন বোলডাক জেলায় হামলা চালায়। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রতিবেশী দেশের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছে, চমন সীমান্তে আফগান বাহিনীই বিনা উসকানিতে গোলাগুলি শুরু করে। নিজেদের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা ও নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে পাকিস্তানি পুরোপুরি সজাগ ও অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছে, এক বিবৃতিতে বলেছেন মুখপাত্র মোশাররাফ জাইদি। দক্ষিণ এশীয় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সর্বশেষ দফা শান্তি আলোচনা কোনো ব্রেক থ্রু ছাড়াই শেষ হওয়ার দুইদিন পর এ গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটল। আলোচনায় কোনো সমঝোতা না হলেও দুই পক্ষ তাদের ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। অক্টোবরে দুই দেশের মধ্যে প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘর্ষের পর উত্তেজনা কমাতে সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্কে একের পর এক বৈঠকের পর এবার সৌদি আরবে আফগান ও পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বসেছিলেন, কিন্তু সেই আলোচনা কোনো ফল বয়ে আনেনি। দুই পক্ষের বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ। ইসলামাবাদ বলছে, আফগানভিত্তিক জঙ্গিরা সমপ্রতি পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলাসহ একাধিক হামলা চালিয়েছে, যেগুলোতে আফগান নাগরিকরা জড়িত ছিল। কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা পাকিস্তানের ভেতরকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারে না। অক্টোবরের সংঘর্ষে দুই পক্ষের কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরার পর সেটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সহিংসতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *