মিয়ানমারের রাজনীতিতে আবার বড় পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। চার বছর আগে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি-কে বন্দি করে ক্ষমতা দখল করেছিল জান্তা।
বিদ্রোহীদের ক্রমবর্ধমান চাপ এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে এ বছর ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছে সেনারা। তবে নতুন নিয়মে সু চি-র দল এনএলডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচন শুধু মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে চিন চাইছে তাদের বহু প্রতীক্ষিত ‘চীন–মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডর’ প্রকল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব চিন সরাসরি ভারত মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত হবে। অন্যদিকে ভারত আশঙ্কা করছে, মিয়ানমারে যদি বেজিং দৃঢ়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হবে।