বিশ্বের অন্যতম শিল্প ও পর্যটননির্ভর দেশ ইতালি তাদের শ্রমবাজারের ঘাটতি পূরণে বিশাল ঘোষণা দিয়েছে। দেশটি আগামী তিন বছরে পাঁচ লাখ বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি নেতৃত্বাধীন সরকার জানিয়েছে, এবারের আবেদন প্রক্রিয়া হবে আগের তুলনায় অনেক কঠোর, স্বচ্ছ এবং ডিজিটালভাবে যাচাইযোগ্য।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, শুধুমাত্র দক্ষ কর্মী ও নিবন্ধিত মালিক (স্পন্সর)-ই এবার আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি নিয়োগদাতার পূর্ণাঙ্গ ও যাচাইযোগ্য তথ্য থাকতে হবে—নয়তো আবেদন বাতিল হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া শুরু
ইতালির স্পন্সর ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২৩ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে এবং চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আবেদনকারীরা অনলাইনে আগাম ফরম পূরণের মাধ্যমে অংশ নিতে পারবেন।
ইতালি সরকার জানিয়েছে, এবার তারা নন-ইউরোপীয় ৩৮টি দেশ থেকে শ্রমিক নেবে, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, এবারের প্রক্রিয়া পুরোপুরি ডিজিটাল সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইযোগ্য, তাই দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে আবেদন করলে ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধুমাত্র সঠিকভাবে নিবন্ধিত স্পন্সরের আবেদনই গৃহীত হবে।
ইতালিতে দীর্ঘদিন ধরেই শ্রমিক সংকট রয়েছে। ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশটি ৪ লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, তবে এবার সেটি বাড়িয়ে ৫ লাখে উন্নীত করা হয়েছে।
২০২৬ সালের আবেদনকারীদের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ‘ক্লিক ডে’ —
- ১২ জানুয়ারি, ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৬ ফেব্রুয়ারি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি।
এই তারিখগুলোতে সকাল ৯টায় অনলাইনে নির্ধারিত পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন জমা দেওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এবার স্বয়ংক্রিয় যাচাই প্রক্রিয়ার কারণে বাংলাদেশিদের ইতালি ভিসা পেতে আগের মতো হয়রানির শিকার হতে হবে না।