পবিত্র ওমরাহ পালন করেছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ও বিশিষ্ট দায়ী মাওলানা তারিক জামিল। নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পবিত্র কাবা শরিফে তাওয়াফরত অবস্থায় ও কাবার সামনে হাত তুলে দোয়া করার একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। পোস্টের ক্যাপশনে উল্লেখ করেছেন সুরা হজের ৩২ নম্বর আয়াত ও তার অর্থ—যেখানে বলা হয়েছে, “যে আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করে, নিঃসন্দেহে তা তার হৃদয়ের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ।”
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় মাওলানা তারিক জামিল লিখেছেন, আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন আন্তরিক আল্লাহভীতির প্রতিফলন। যার অন্তরে তাকওয়া থাকে, সে-ই এসবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারে। আর যে সম্মান প্রদর্শন করে না, তার অন্তরে আল্লাহভীতি নেই—এটিই তার প্রমাণ।
জানা গেছে, কয়েকদিন ধরেই তিনি সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। মক্কায় ওমরাহ পালনের আগে মদিনায় মসজিদে নববীতে অবস্থান করে রাসুল (সা.)-এর রওজা মুবারক জিয়ারত করেন। তাঁর পেজে মক্কায় আগমনের খবরও জানানো হয়। মদিনা থেকে মক্কায় রওনা হওয়ার সময় এক পোস্টে লেখা হয়—“যখন হৃদয় মক্কার পথে রওনা হয়, তখন পৃথিবীর সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।” পাশাপাশি তাঁর নিরাপদ সফরের জন্য দোয়া চাওয়া হয়।
এর আগে, ১০ অক্টোবর মসজিদে নববীতে জুমার নামাজ আদায়ের ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায়ের ছবিও প্রকাশিত হয়, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, মাওলানা তারিক জামিল বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ইসলামী ব্যক্তিত্ব। ১৯৫৩ সালের ১ অক্টোবর পাকিস্তানের পাঞ্জাবের একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। লাহোরের সেন্ট্রাল মডেল স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে লাহোর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন। এরপর কিং এডওয়ার্ড মেডিক্যাল কলেজে প্রি-মেডিক্যাল শেষ করে এমবিবিএস-এ ভর্তি হন।
তবে পরবর্তীতে তাবলিগ জামাতের প্রভাবে মেডিক্যালের পড়াশোনা ছেড়ে দেন এবং রাইবেন্ডের একটি মাদরাসায় ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করেন। তারপর থেকে তিনি ইসলাম প্রচার, সমাজসেবা ও শিক্ষা প্রসারে নিজেকে নিবেদিত করেন।
বিশ্বব্যাপী মুসলিম সমাজে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকা ‘দ্য মুসলিম ৫০০’-এ তিনি নিয়মিত স্থান পান, সবসময় শীর্ষ ৫০ জনের মধ্যে থাকেন। ২০২০ ও ২০২১ সালে ধর্মীয় ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি পাকিস্তান সরকারের প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার অর্জন করেন।