রাশিয়া শনিবার রাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার ফলে ১২ বছর বয়সী এক শিশুসহ অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। এ হামলায় প্রায় ১৫টি স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে একাধিক আবাসিক ভবনও রয়েছে। কিয়েভের আকাশসীমায় সর্তকবার্তা জারি করা হয়েছে এবং স্থানীয়রা নিরাপত্তার জন্য গভীর ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলার পর পর ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেন, “রাশিয়া রাতভর শত শত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। হামলায় আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বেসামরিক নাগরিকেরা নিহত ও আহত হয়েছেন।”
এদিকে, রাশিয়া নতুন করে ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর পোল্যান্ড তার দক্ষিণ-পূর্ব আকাশসীমার কিছু অংশ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে “অপরিকল্পিত সামরিক কার্যকলাপ” হিসেবে রাশিয়ার হামলাকে চিহ্নিত করে।
ডেনমার্ক এবং নরওয়ে রুশ বাহিনীর ড্রোনের উপস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় বাল্টিক সাগরে ন্যাটোর প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা জোরদার করেছে এবং পোল্যান্ডও নিজের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করেছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, সকালেও হামলা অব্যাহত ছিল এবং একাধিক আবাসিক ভবনে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
এই হামলা বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, এবং ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়ে উঠছে।