আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ভিংরোল এলাকায় ১১ হাজার ভোল্টের কাভারবিহীন তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম আসমা আকতার (২৫), তিনি মোহাম্মদ তারেকের স্ত্রী। তাদের সংসারে ৩ বছর বয়সী এক ছেলে এবং ৬ মাসের এক শিশু রয়েছে। ঘটনার সময় আসমা শুকানো কাপড় আনতে গিয়ে ঘরের ছাদের উপরে থাকা বিদ্যুতের ঝুঁকিপূর্ণ ১১ হাজার ভোল্টের কাভারবিহীন তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
স্বজনদের অভিযোগ, আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষকে একাধিকবার বিষয়টি জানানো হলেও তাদের অবহেলায় ঝুঁকিপূর্ণ তার সরানো হয়নি। নিহতের শ্বশুর মাষ্টার আশরাফ আলী বলেন, “এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নয়। আমরা বহুবার ওই ঝুঁকিপূর্ণ তারের বিষয়ে জানিয়েও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ আমার পুত্রবধূ তার অবহেলায় প্রাণ হারিয়েছে।”
এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অবহেলার অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. মোরশেদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, “এটি একটি খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবো যাতে তারা ওই ঝুঁকিপূর্ণ কাভারবিহীন তার সরায়।”