চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ আনোয়ারা-বাঁশখালী-টইটং-পেকুয়া-বদরখালী-চকরিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাঁশখালী সচেতন নাগরিক কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি প্রদান করা হয়। এতে অংশ নেন স্থানীয় রাজনীতিক, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, ও সমাজকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত সড়কটি অত্যন্ত সরু ও জরাজীর্ণ। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ আটটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এ ছাড়া সড়কটি দিয়ে পরিবহন হচ্ছে লবণ, কৃষিপণ্য, চিংড়ি, মাছ, চা-পাতাসহ নানা পণ্য। শিল্প-কারখানা, বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং পর্যটনের জন্যও সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল এখন লোকসানে চলছে, সরকারকে প্রতিদিন প্রায় ২৮ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সড়ক অবকাঠামো উন্নত না হওয়ায় টানেলটির পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
বাঁশখালী, পেকুয়া হয়ে চকরিয়া-কক্সবাজার পর্যন্ত চারলেনের সড়ক বাস্তবায়িত হলে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, ১৩২০ মেগাওয়াট বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং ১৩০০ মেগাওয়াট মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রকল্প কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হবে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার এবং এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে বড় ধরনের গতি আসবে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন—চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা ও এডিশনাল পিপি ইফতেখার হোসেন মহসিন, এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক, অ্যাডভোকেট সরওয়ার কামাল, আইনজীবী দৌলত আকবর, অ্যাডভোকেট আরিফুল হক তায়ের, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সদস্য মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন, মহানগর ওলামা দলের সদস্য সচিব জয়নাল আবেদিন, তরুণ লেখক তৌহিদুল বারী, ব্যবসায়ী সিরাজুল করিম মানিক, জুলাই যোদ্ধা মোহাম্মদ সাগর, আরাফাতুল ইসলাম, মোহাম্মদ দেলোয়ার, মোহাম্মদ মাহফুজসহ অনেকে।