পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের ‘বেপরোয়া আগ্রাসন’ বন্ধে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার দোহায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, “ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতাপূর্ণ হামলা শুধু কাতারের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন নয়, এটি আন্তর্জাতিক আইনেরও চরম অবমাননা।”
শাহবাজ শরিফ বলেন, “এই মুহূর্তে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে।”
এর আগে, মঙ্গলবার দোহায় চালানো ইসরায়েলি হামলায় হামাসের পাঁচ সদস্যসহ কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নিহত হন। নিহতদের জানাজা বৃহস্পতিবার দোহাতেই অনুষ্ঠিত হয়।
পাক প্রধানমন্ত্রী এই হামলাকে ‘জঘন্য ও কাপুরুষোচিত’ বলে আখ্যা দিয়ে কাতারের সরকার ও জনগণের প্রতি সম্পূর্ণ সংহতি ও সমর্থন জানান। তিনি বলেন, “পাকিস্তান সব ধরনের অন্যায় উসকানি মোকাবিলায় কাতারের পাশে থাকবে।”
দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে শাহবাজ বলেন, পাকিস্তান ও কাতার সবসময় পরস্পরের পাশে থেকেছে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান জাতিসংঘে জরুরি অধিবেশনের আহ্বান জানিয়েছে এবং ১৫ সেপ্টেম্বর দোহায় অনুষ্ঠেয় আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে সহ-আয়োজক হতে চায়।
এছাড়া, শাহবাজ শরিফ কাতার সরকারের গাজা সংকট সমাধানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং বলেন, “ইসরায়েলের লক্ষ্য হচ্ছে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ধ্বংস করা এবং শান্তির উদ্যোগগুলো ভেস্তে দেওয়া।”
বৈঠকে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়েও আলোচনা হয়, যেখানে কাতারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমিরকে ধন্যবাদ জানান। দুই নেতা আঞ্চলিক শান্তি, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।