শুক্রবার জাতীয় পার্টি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নুরের শারীরিক অবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান বলেন, শুক্রবার শাহবাগে গণঅধিকার পরিষদের একটি সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল উপস্থিত ছিল। বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ গণতন্ত্র মঞ্চের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো, ১২ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত দল এবং অন্যান্য ইসলামিক, বাম প্রগতিশীল ও মধ্যপন্থী দল। এ সমাবেশে নুরুল হক নূরের ওপর হামলার বিচারের দাবি জানানো হয়। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের অপরাধের বিচারের দাবিও উঠে।  

বলেন, শাহবাগে সফল প্রোগ্রাম শেষে আমরা লক্ষ্য করি কার্যালয়ে অনেকে ফিরে গিয়েছে। কে বা কারা জাতীয় পার্টির সামনে গিয়েছে—এ সম্পর্কিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলা হচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ জড়িত। আমরা স্পষ্টভাবে জানাই, গণঅধিকার পরিষদ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করে। আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে ৭ থেকে ৮ মাস আগে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের আহ্বান করেছি। মাসখানেক আগে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আওয়ামী লীগের অপরাধের মতো জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলও একই ধরনের অপরাধ করেছে। তাই তাদেরও নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের আন্দোলন ধারাবাহিক, নতুন নয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে রাশেদ খান বলেন, জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জিএম কাদের ফ্যাসিবাদের দোসর। তারা গণঅধিকার পরিষদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ দাবি করেছে। আওয়ামী লীগের তেজগাঁও মিছিল দেখলে বোঝা যায় সরকার, প্রশাসন, আর্মি, র্যাব, বিজিবি এবং যৌথ বাহিনী তাদের প্রতিহত করছে না। স্পষ্ট তথ্য আছে যে, জাতীয় পার্টিকে আগামী নির্বাচনে বিরোধী দল বানাতে বাংলাদেশ ও ভারতের এজেন্টরা তৎপর। সরকারের কেউ এ  ব্যাপারে নাক গলাতে পারবে না। ২০২৪ সালের নির্বাচনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জিএম কাদেরের পোস্টারে লেখা ছিল, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত, জাতীয় পার্টি মনোনীত’। তারা ফ্যাসিবাদের অনুগত। বাংলার মাটিতে জাতীয় পার্টি রাজনৈতিকভাবে কার্যকর হবে না এবং নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সরকারের উদ্দেশে রাশেদ খান বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জিএম কাদেরকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *