ক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের মৌসুম শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রথম মাসে (৩ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর) ১ হাজার ৮১৩ মেট্রিক টন মাছ বাজারজাত করা হয়েছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) ৪ কোটি টাকার বেশি শুল্ক আদায় করেছে।
এ বছর কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধের নিষেধাজ্ঞার সময় ৩ আগস্ট থেকে মাছ আহরণ শুরু হয়, যা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে, যদি পরিবেশ অনুকূল থাকে। তবে, চলতি মৌসুমে হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় মাছ আহরণ কিছুটা কমেছে এবং এর কারণে মাছের অবতরণও (ল্যান্ডিং) কম হয়েছে।
মৎস্য ব্যবসায়ীদের মতে, ছোট প্রজাতির মাছের আধিক্য হলেও, কাপ্তাই হ্রদের মাছের শুল্কহার পুনঃনির্ধারণের ফলে শুল্ক আদায় বেড়েছে। বিএফডিসির হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আগস্ট মাসজুড়ে কাপ্তাই, মারিশ্যা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির বিপণন কেন্দ্রগুলোতে মোট ১ হাজার ৮১৩ মেট্রিক টন মাছ অবতরণ হয়েছে এবং এর বিপরীতে ৪ কোটি ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৪ টাকা শুল্ক আদায় করা হয়েছে।
গত বছর একই সময়ে ১ হাজার ৯৪২ মেট্রিক টন মাছ অবতরণের বিপরীতে শুল্ক আদায় হয়েছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৯১ হাজার ৬১৭ টাকা। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে শুল্ক আদায়ে বৃদ্ধি হয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের উপব্যবস্থাপক মো. মাসুদ আলম আজাদী জানান, এই বছর উজানের ঢলের কারণে প্রথম মাসে মাছ আহরণ কিছুটা কম হয়েছে, তবে তিনি আশা করছেন, মৌসুম শেষে পর্যাপ্ত মাছ আহরণ সম্ভব হবে।
এছাড়া, তিনি বলেন, এই বছর পানি বেশি থাকার কারণে পুরো মৌসুমে মাছ আহরণের জন্য পরিবেশ সহায়ক থাকতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ফলাফল প্রদান করবে।