বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে পুতিন ও কিমের মধ্যে আলোচনা, ১৫০ বছর বাঁচার সম্ভাবনা নিয়ে কথোপকথন

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনসহ বিশ্বের অন্যান্য নেতা। কুচকাওয়াজের মঞ্চে পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি আলোচনা চলে, যা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এই আলোচনায় শি জিনপিং এমন কিছু মন্তব্য করেন, যা তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিম জং উনকে হাসতে দেখে যায়। তবে শি’র মন্তব্যগুলি কিমের জন্য অনুবাদ করা হয়েছিল কিনা তা পরিষ্কার নয়।

পুতিন পরবর্তীতে সাংবাদিকদের কাছে এই আলোচনা সম্পর্কিত তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শি ও তিনি আধুনিক স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। পুতিনের মতে, এসব উন্নতি মানবজাতিকে দীর্ঘ ও সক্রিয় জীবনযাপন করার আশা দিচ্ছে। তিনি ১৫০ বছর বাঁচার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন এবং অমরত্বের দিকেও ইঙ্গিত দেন।

এই আলোচনা মাইক্রোফোনে ধরা পড়ে, যেখানে পুতিনের দোভাষী বলছিলেন, “বায়োটেকনোলজি ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে, মানুষের অঙ্গ অবিরাম প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে। যত বেশি বাঁচবেন, তত তরুণ হয়ে উঠবেন, এমনকি অমরত্বও অর্জন করা যেতে পারে।” শি জিনপিং এর জবাবে বলেন, “এই শতাব্দীতেই মানুষ ১৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে, এমন ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে।”

একই দিন, চীনে অনুষ্ঠিত সামরিক কুচকাওয়াজে পুতিন এবং কিমের মধ্যে আরো এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কিমকে রাশিয়ায় সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান এবং ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের সহায়তার জন্য কিমকে ধন্যবাদ দেন।

এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের দখল করা অঞ্চলগুলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের চেষ্টা করছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, এসব ‘ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা’কে স্বীকৃতি দিতে হবে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিগা রাশিয়ার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন।

সামরিক কুচকাওয়াজটি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০ বছর পূর্তির উপলক্ষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *