১৫ বছরে হয়নি, আজ আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে: রুমিন ফারহানা

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুনানিতে ধাক্কাধাক্কি ও মারামারির ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিএনপির জন্য ১৫ বছর লড়াই করেও আজ নিজ দলের নেতা–কর্মীদের কাছেই তিনি ধাক্কার শিকার হয়েছেন।

শুনানি চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রুমিন ফারহানা বলেন, তিনি ভদ্রলোক নিয়ে আসলেও অপরপক্ষ শুনানিতে অশালীন আচরণ করেছে। বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয় এবং তাঁর কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ আঘাত করলে তাঁর লোকজনও পাল্টা জবাব দিয়েছে।

রুমিন ফারহানা দাবি করেন, বিজয়নগরের তিনটি ইউনিয়ন—বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর—সরাইল-আশুগঞ্জের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব যথাযথ এবং এতে ভোটারসংখ্যায় ভারসাম্য আসবে। তিনি যুক্তি দেন, ইউনিয়নগুলো ভৌগোলিক ও সামাজিকভাবে সরাইলের সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ত।

অন্যদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ হোসেন বলেন, ওই ইউনিয়নগুলো ভৌগোলিকভাবে বিজয়নগরের সঙ্গে যুক্ত এবং সেগুলো সদর-বিজয়নগর আসনেই থাকা উচিত। তিনি ঘটনাটিকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেন।

শুনানিতে উপস্থিত এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ অভিযোগ করেন, বক্তব্য দিতে গেলে রুমিন ফারহানা তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং তাঁর অনুসারীরা মারধর করে। তিনি দাবি করেন, কমিশনের সামনেই তাঁকে ‘পিষে দেওয়া হয়েছে’, যা প্রমাণ করে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

এ প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, প্রথমে তাঁকেই ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল। তিনি একজন নারী হিসেবে আক্রান্ত হয়েছেন, তাই তাঁর অনুসারীরা পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *