সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোনো গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠের পাশের চারটি গাছ কাটা হয়। জানা গেছে, গত দুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৭টি গাছ দেড় লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে। এখন পর্যন্ত ২২টি গাছ কাটা হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগ গাছ ক্যাম্পাসের গ্যারেজের পেছন এবং বাস্কেটবল মাঠের পাশ থেকে কাটা হয়েছে। এসব গাছের মধ্যে আকাশমণি, কদম এবং রেইনট্রি প্রজাতির গাছ ছিল, যা ছাত্রদের চলাফেরা এবং আড্ডায় ছায়া প্রদান করত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের চারটি গাছ কাটা হয়েছে। গাছ কাটার কাজের সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছগুলো নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে গাছ কাটা শুরু করা হয়।
গাছ কাটার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জীবন সরকার বলেন, “এটি দুঃখজনক। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোনো গাছ সংরক্ষণ করা হয়, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটা হচ্ছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার প্রধান অধ্যাপক আবুল হাসনাত বলেন, “যেসব গাছ পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর, সেগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছু গাছ হেলে পড়ে সমস্যা সৃষ্টি করছিল, তাই সেগুলো কাটা হচ্ছে। নতুন ছায়াবৃক্ষ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।”
সিলেট বন বিভাগের টাউন রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ জানান, “গাছ কাটার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো কিছু জানায়নি।”
এদিকে, ১২ আগস্ট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একটি কদম গাছ কাটার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গোলচত্বরে সমাবেশ করেন।