যে কারণে পুতিনের মলমূত্রও বিদেশ থেকে রাশিয়ায় নিয়ে আসা হয়

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যিনি বিশ্বের অন্যতম উগ্র রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত, বর্তমানে অত্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আছেন, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে। তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা এতটাই কড়া যে, তার চারপাশে একাধিক নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে থাকে, যাদের মধ্যে ‘মাস্কেটিয়ার’ নামে পরিচিত একটি বিশেষ ইউনিট রয়েছে, যারা রাশিয়ার ফেডারেল প্রটেকটিভ সার্ভিসের সদস্য।

পুতিনের নিরাপত্তার সঙ্গে একটি বিশেষ ব্রিফকেস, ‘চেগেট’ থাকে, যা পারমাণবিক হামলা শুরুর সংকেত দিতে পারে। এই ব্রিফকেসটি এমন ক্ষমতা রাখে, যে এটি বুলেটপ্রুফ ঢাল হিসেবে কাজ করে, তবে এর মূল কাজ হলো নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। একসময় চেগেটের আগের সংস্করণে ভয়াবহ বিস্ফোরক ছিল, তবে এখন এটি যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। পুতিনের জীবন ও নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি ব্রিফকেস, ‘পু ব্রিফকেস’, ব্যবহার করা হয়, যার মাধ্যমে বিদেশে পুতিনের মলমূত্রও সংগ্রহ করে রাশিয়ায় ফেরত নিয়ে আসা হয়, সম্ভবত তার শারীরিক অবস্থা বাইরে প্রকাশ না পায়, এজন্য।

পুতিনের নিরাপত্তারক্ষী নির্বাচনেও কঠোরতা রয়েছে, তারা অপারেশনাল সাইকোলজি, শারীরিক ও মানসিক শক্তির পরীক্ষা এবং যেকোনো আবহাওয়া সহ্য করার ক্ষমতা অর্জন করতে হয়। তারা প্রেসিডেন্টের গন্তব্যের প্রতি খেয়াল রেখে ভ্রমণের পূর্বেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। দেহরক্ষীদের কাছে থাকে অত্যাধুনিক পিস্তল, যা বুলেটপ্রুফ ভেস্টও ভেদ করতে পারে, এবং জ্যামিং ডিভাইসও ব্যবহার করা হয়।

পুতিনের সুরক্ষিত গাড়ি বহরে রয়েছে অ্যান্টি-ট্যাংক গ্রেনেড লঞ্চার, পোর্টেবল অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল এবং একে-৪৭ রাইফেল। এছাড়া, পুতিনের খাবারও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পরীক্ষা করা হয়, যাতে কোনো বিষ বা ক্ষতিকর উপাদান না থাকে। তার খাবার তৈরির সময় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যুক্ত থাকেন এবং রান্না শেষে টেবিলে আসার আগেই নিরাপত্তা টিম তা পরীক্ষা করে দেখেন। বিদেশে গেলে তার জন্য বিশেষভাবে বহন করা হয় কিছু খাবার ও প্রয়োজনীয় উপকরণ, যেমন লবণ, গোলমরিচ, টমেটোর সস, পানি এবং ন্যাপকিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *