সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমাছড়া পর্যটনকেন্দ্র থেকে প্রায় দুই লাখ ঘনফুট লুট করা পাথর উদ্ধার করেছে টাস্কফোর্স। মঙ্গলবার যৌথ বাহিনীর অভিযান চলাকালে উৎমাছড়া-সংলগ্ন আদর্শগ্রাম থেকে এসব পাথর উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া, পূর্ববর্তী সময়ে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পর উৎমাছড়া পর্যটনকেন্দ্রও আলোচনায় উঠে আসে। গত জুনে ঈদের ছুটির সময়ে স্থানীয় আলেম-ওলামা পরিচিত যুবকরা ভিডিও করে পর্যটকদের উৎমাছড়া না যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। এর কারণ হিসেবে তারা এলাকার পরিবেশ নষ্ট ও অশ্লীল কার্যকলাপের অভিযোগ করেছিলেন। সেই সময় অভিযোগ ওঠে যে, ওই অঞ্চলের পাথর লুট করতেই পর্যটকদের সেখানে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
টাস্কফোর্সের অভিযানে উদ্ধার হওয়া পাথর এবং বালু বুধবার পর্যন্ত দুই লাখ ১৪ হাজার ঘনফুট পাথর ও ২৮ হাজার ঘনফুট বালু ছিল। অভিযানের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেট ব্যাটালিয়ন এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে উদ্ধার করা পাথরগুলো বিভিন্ন বাড়ি ও রাস্তায় রাখা ছিল। এগুলো কিছু পুরনো এবং কিছু সম্প্রতি উত্তোলিত পাথর মিশ্রণ।
সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ইফ্রাহিম ইকবাল চৌধুরী জানান, এসব পাথর উৎমাছড়া কোয়ারি থেকে উত্তোলিত হয়েছিল, যা এখন নিষিদ্ধ। উদ্ধারকৃত পাথরগুলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় রাখা হয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গোয়াইনঘাটের জুমপার এলাকা থেকে আরও প্রায় ২৪ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে, যা সিলেটের জাফলং ও সাদাপাথর এলাকায় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
সিলেট অঞ্চলের পাথর কোয়ারি ইজারা ২০২০ সালের পর বন্ধ রয়েছে, তবে কিছু ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা পাথর উত্তোলন পুনরায় শুরু করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছেন।