তাসকিনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে জিডি

তবে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন তাসকিন

বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অভিযোগকারী। গত রোববার রাতে রাজধানীর মিরপুরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়। রাতেই মিরপুর মডেল থানায় জিডিটি করা হয়। তাসকিনের বিরুদ্ধে অভিযোগটি করেছেন সিফাতুর রহমান সৌরভ নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগে তিনি বলেন, তাসকিন তাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে কিল–ঘুষি মেরে জখম করেন ও হুমকি দেন। জানা গেছে, অভিযোগকারী তাসকিনের বন্ধু। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাসকিনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ শেষ করে বাংলাদেশ দল এখন ছুটিতে আছে। গেল ২৪ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টি খেলেছেন তাসকিন। তাসকিন আহমেদের এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় দেশের ক্রিকেট। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা এই পেসারের বিরুদ্ধে বন্ধুদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে থানায় জিডিও হয়েছে। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাসকিনের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ। তবে এবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তাসকিন। ফেসবুকে তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার। তাসকিন আহমেদের ফেসবুক পোস্টে সবাইকে অনুরোধ করে বলেন গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। আমি আমার ছোটবেলার বন্ধুর গায়ে হাত তুলেছি এমন একটা ঘটনায় অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে। আমার মনে হয় এমন গুজবে কান দিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না এবং অন্যকেও বিভ্রান্ত করবেন না। এটা আমার, আমার পরিবার ও আমার বন্ধুর জন্য সম্মানজনক না। যা ঘটেছে সেজন্য বন্ধু ও আমার মধ্যে কথা হয়েছে। এটা যে পর্যায়ে গেছে কোনোভাবে এমনটা হওয়ার কথা নয়। শুধু একটা কথাই বলতে চাই বিষয়টা অন্য, বাস্তবতা ভিন্ন (মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত)। আশা করি সত্য এর সাথেই থাকবেন, সত্য কখনো মিথ্যা হয় না।

এদিকে কেন তাসকিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে, অভিযোগের সত্যতা কতটুকু, তাসকিন আদৌ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা? তা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতিখার আহমেদ মিঠু জানান, তাসকিনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে তার। তাসকিন ইফতিখার আহমেদ মিঠুকে বলেছেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত না। আমার বন্ধুদের মধ্যে দুই গ্রুপে মারামারি হয়েছে। এক পক্ষ আমাকে থানাতে ফোন করতে অনুরোধ করে। আমি মিরপুর থানার ওসিকে ফোন করি। তাতে অপর পক্ষ আমার ওপর ক্ষুদ্ধ হয়ে থানায় জিডি করেছে। কিন্তু আমি এ ঘটনার সঙ্গে মোটেও জড়িত নই। তাসকিনের এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জানান আমরা পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। মিরপুর থানার ওসি ও অভিযোগকারীর সঙ্গে আমরা কথা বলবো। তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *