মিটফোর্ডের সামনে লাল চাঁদকে হত্যায় আরও তিন আসামির স্বীকারোক্তি, দুজন রিমান্ডে

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আরও তিন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া একই হত্যা মামলায় নতুন গ্রেপ্তার দুজনকে ৭২ ঘণ্টা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত বুধবার দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। স্বীকারোক্তি দেওয়া তিনজন হলেন নান্নু কাজী, তারেক রহমান ও রেজওয়ান উদ্দিন। রিমান্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন পারভেজ ও জহির। জবানবন্দি শেষে ওই তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর পারভেজ ও জহিরকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেছিল পুলিশ।

জবানবন্দি সম্পর্কে অবগত সূত্রগুলো বলছে, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ পর্যন্ত লাল চাঁদ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মাহমুদুল হাসান মহিনসহ আট আসামি। লাল চাঁদের সঙ্গে মাহমুদুলের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে লাল চাঁদকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বে লাল চাঁদকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা তাঁর পরিচিত ছিলেন।

৯ জুলাই মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে লাল চাঁদকে হত্যা করে একদল লোক। পিটিয়ে ও ইট-পাথরের খণ্ড দিয়ে আঘাত করে তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয়। তাঁর শরীরের ওপর উঠে হত্যাকারীদের লাফাতেও দেখা গেছে সিসিটিভি ফুটেজে।

লাল চাঁদ হত্যার ঘটনায় ১০ জুলাই রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়। আলোচিত এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন রেজওয়ান উদ্দিন, মো. নান্নু কাজী, সজীব ব্যাপারী, রাজীব ব্যাপারী, টিটন গাজী, মাহমুদুল হাসান মহিন, তারেক রহমান রবিন, আলমগীর, পারভেজ, জহির ও মনির ওরফে ছোট মনির। এরই মধ্যে আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *