কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃদ্রোগ, স্ট্রোকসহ নানা জটিলতার ঝুঁকি একযোগে বাড়ে। তবে কোলেস্টেরল ধরা পড়লেই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে কিছু নির্দিষ্ট সবজি যুক্ত করলেই কোনও ওষুধ ছাড়াই খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমানো এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ানো সম্ভব। এসব সবজিতে থাকা ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোস্টেরল, ভিটামিন ও খনিজ শরীরকে চর্বি জমা থেকে রক্ষা করে।
নিচে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ৬টি সবজির তালিকা দেওয়া হল—
১. পালং শাক
পালং শাকে রয়েছে লুটেইন, ভিটামিন A, C ও K এবং প্রচুর ফাইবার, যা রক্তনালি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্লাক জমতে বাধা দেয়। স্যালাড, ভাজি বা স্যুপ—সবভাবেই খাওয়া যায়।
২. করলা
করলা রক্তে শর্করা ও চর্বি কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। এতে থাকা ফাইবার লিভারকে সুস্থ রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। জুস হিসেবে সবচেয়ে উপকারী, তবে কম তেলে ভাজা করলাও খাবেন।
৩. বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে থাকা সালফার যৌগ, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল শোষণ কমায় এবং শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। কম তেলে রান্না বা কাঁচা স্যালাড হিসেবে খেলে উপকারিতা বেশি।
৪. গাজর
গাজরের সলিউবল ফাইবার ও বিটা-ক্যারটিন রক্তে LDL কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত গাজর খেলে শরীরের টক্সিন কমে এবং হৃদ্স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। কাঁচা গাজর স্ন্যাক্স হিসেবে, স্যুপ বা জুস—সবই উপকারী।
৫. টমেটো
টমেটোয় থাকা লাইকোপিন খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত টমেটো খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। স্যালাড কিংবা রান্না—উভয়ভাবেই খাওয়া যায়।
৬. লাউ
লাউয়ে রয়েছে প্রচুর পানি ও ফাইবার, যা শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং লিভারের চাপ কমায়। নিয়মিত লাউ খেলে চর্বি জমা কমে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এই ৬ সবজিকে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে রাখলে ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল কমানো সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা জানান।