তিন দফা পতনের পর আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে স্বর্ণের বাজার। বুধবার (২৯ অক্টোবর) ও বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) টানা দুই দিন বাড়ে স্বর্ণের দাম। একই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও দেখা গেছে মূল্যবৃদ্ধির ধারা।
এদিকে বিশ্লেষকদের প্রশ্ন—কেন স্বর্ণের দামে এমন অস্থিরতা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি সোনার দাম এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যা গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি। এই মূল্যবৃদ্ধির সুযোগে অনেক বিনিয়োগকারী এখন ‘প্রফিট বুকিং’ বা মুনাফা তুলে নেওয়ার পথে হাঁটছেন। এতে বাজারে ওঠানামা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।
নতুন দর অনুযায়ী স্বর্ণের দাম:
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দেশে ভালো মানের স্বর্ণের (২২ ক্যারেট) দাম ২,৬১৩ টাকা কমেছে। এখন থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২,০৯,৬৯৬ টাকা।
- ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম: ১,৯০,৯৯৮ টাকা
- ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম: ১,৬৩,৭১৬ টাকা
- সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম: ১,৩৬,০১৪ টাকা
নতুন এই দর শুক্রবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক লাফে ৮,৯০০ টাকা বেড়ে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় ২,০২,৭০৯ টাকা। তারও আগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) হঠাৎই ১০,৪৭৪ টাকা কমেছিল স্বর্ণের দাম।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী নিয়েও আলোচনা
স্বর্ণের দামের এই অস্থিরতার সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এসেছে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী। জানা গেছে, তিনি ২০২৬ সালে একটি বৈশ্বিক আর্থিক সংকট বা ‘নগদ অর্থের সংকট’-এর কথা বলেছিলেন, যা ব্যাংকিং খাতকে মারাত্মকভাবে নাড়িয়ে দিতে পারে।
তাঁর বাণী অনুযায়ী, যদি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়, তাহলে সোনার প্রতি মানুষের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাবে। এতে সোনার দাম ২৫% থেকে ৪০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদি এই ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবায়িত হয়, তাহলে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে স্বর্ণের দাম প্রতি ১০ গ্রামে ১.৬২ লাখ থেকে ১.৮২ লাখ রুপি পর্যন্ত উঠতে পারে—যা হবে সর্বকালের রেকর্ড।
বিনিয়োগকারীদের জন্য বার্তা
অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময়ে স্বর্ণ সব সময়ই একটি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। তবে বিশ্লেষকদের পরামর্শ—শুধুমাত্র ভবিষ্যদ্বাণীর ওপর নির্ভর না করে, বাজারের প্রকৃত পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।