চিঠির আঁচড়

সেই বইটার ফাঁকে এখনো গোঁজা

বিপন্ন তবু বেপরোয়া চিরকুটে–

হাতড়ে হাতড়ে ওই ছোঁয়াটুকু খোঁজা

ধূসর গোলাপ মারা গেছে মাথা কুটে।

ধার দিয়েছিলে, ফেরত দিইনি বলে

চলে গিয়েছিলে আর তো এলে না ফিরে–

চিঠির ছাপটা একাশি পাতার কোলে

রয়ে যাবে; যদি চিঠিখানা ফেলি ছিঁড়ে।

বাকি গল্পটা হয়নি তো পড়া আজও

একাশি পাতায় দৃষ্টি রয়েছে থমকে

মাথার ভেতরে এখনো তুমিই বাজো

অগভীর ঘুমে আমিও যে উঠি চমকে।

অগোচরে চোখে দু–এক পশলা জল

গোলাপটাও তো মাঝে মাঝে যায় ভিজে–

আড়মোড়া ভাঙে শুকনো পাপড়িদল

চিঠিখানা তবু ফেলে দিতে পারিনি যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *