অভিনয়, ব্যক্তিত্ব, সৌন্দর্য দিয়ে অল্প সময়েই ভক্তের হৃদয় জয় করেছেন। স্রোতে না ভেসে ভালো গল্পের নাটক, ওয়েব সিরিজ–এমনকি সিনেমাতেও রয়েছে তাঁর পদচারণা। বলছি, অভিনেত্রী ও মডেল আইশা খানের কথা। এবার তিনি হাজির হয়েছেন নতুন আঙ্গিকে। দেশের অন্যতম বৃহৎ লোকসংগীত প্রতিযোগিতা ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা ২০২৫’-এর সঞ্চালক হিসেবে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। দেশের নানা প্রান্তে অডিশন রাউন্ডে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালনের পর এবার পুরো আসরেরই মূল উপস্থাপনার দায়িত্বে আছেন তিনি। বাংলাদেশের লোকসংগীতকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা এই রিয়েলিটি শো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিভাবান শিল্পীদের জন্য এক বিশাল প্ল্যাটফর্ম। এই আয়োজনের অংশ হতে পেরে আনন্দিত আইশা।
তিনি বলেন, ‘এর আগে অনেক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছি। এত বড় আয়োজনের দায়িত্ব এবারই প্রথম নিয়েছি। ম্যাজিক বাউলিয়ানার এবার পঞ্চম আসর চলছে। তৃতীয় ও চতুর্থ আসরে অডিশন পর্বে কাজ করলেও এবার পুরো আয়োজনেই উপস্থাপনার দায়িত্বে আছি। দেশের নানা প্রান্তের প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। আমি যদিও গানের মানুষ নই, তবুও এই শোতে এসে গান ও সংগীতজগৎ নিয়ে অনেক কিছু শিখছি। গানের মানুষদের সঙ্গে প্রতিদিনের মেলামেশা আমার জানার পরিধি আরও বাড়াচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠানটির প্রচার শুরু হয়েছে। দর্শকের প্রতিক্রিয়া বেশ ইতিবাচক। আমার মনে হচ্ছে, এই অভিজ্ঞতা আমার ক্যারিয়ারে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।’
তিনি আরও জানান, প্রতিযোগীদের গান, সুর, তাল, লয়, ভঙ্গি ও উপস্থাপনা বিচার করে নির্বাচিত করা হয়েছে সেরা শিল্পীদের। তাদের প্রতিভার ঝলক এখন দেখছেন দেশের দর্শক।
গত ৭ আগস্ট রাজধানীর এক পাঁচতারকা হোটেলে ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা ২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
শুধু উপস্থাপনাই নয়, অভিনয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন আইশা খান। সম্প্রতি তিনি শেষ করেছেন নিজের তৃতীয় সিনেমা ‘শেকড়’-এর কাজ। প্রসূন রহমান পরিচালিত এ ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন এফ এস নাঈম। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই সিনেমার বিশ্ব প্রিমিয়ার হবে কানাডার টরন্টোয় ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব সাউথ এশিয়া (ইফসা)-তে। দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই বিদেশে ছবির প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে–এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত আইশা। অন্যদিকে, সোহেল আরমান পরিচালিত ‘সংবাদ’ নামের আরেকটি সিনেমার প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ শেষ করেছেন তিনি। একসময় নাটকে নিয়মিত মুখ হলেও এখন ছোটপর্দায় তাঁর উপস্থিতি তুলনামূলক কম। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একই ধাঁচের গল্পে কাজ করতে ভালো লাগে না। ওটিটির ক্ষেত্রেও প্রথম দিকে বেশ কিছু প্রস্তাব এলেও পরে মনের মতো গল্প আর পাইনি। এ কারণে দর্শক হয়তো আমাকে কম দেখছেন। আমি সব সময় ভালো গল্প আর চরিত্রের অপেক্ষায় আছি।’
লোকসংগীতের এই বিশাল আয়োজন, নতুন দুটি সিনেমা–সব মিলিয়ে আইশা খানের ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়েছে নতুন গতি ও ভিন্ন এক মাত্রা–এমটিই মনে করছেন তাঁর ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।