এটি কোনো বিজ্ঞান কথাসাহিত্য নয়, এটি বাস্তব এবং ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায়। অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যক্তি প্রথমবারের মতো ১০০ দিনের বেশি সময় বেঁচে আছেন শুধুমাত্র একটি কৃত্রিম টাইটানিয়াম হার্টের সাহায্যে, যার ভিতরে কোনো প্রাকৃতিক হৃদস্পন্দন নেই — শুধু যান্ত্রিক ধ্বনি এবং উদ্ভাবনের শক্তি।
ডাক্তাররা তার অকেজো হয়ে যাওয়া হৃদয়কে প্রতিস্থাপন করেছেন একটি টাইটানিয়াম হার্ট দিয়ে, যা পুরোপুরি হৃদয়ের পাম্পিং কার্যকারিতা অনুকরণ করে। কোনো প্রাকৃতিক পালস নেই, কিন্তু এটি শরীরের সমস্ত অঙ্গকে সুস্থ ও স্থিতিশীল রাখতে ধারাবাহিক রক্ত সঞ্চালন নিশ্চিত করে।
এই সাফল্য শুধু বেঁচে থাকার গল্প নয়। এটি প্রমাণ করে যে উন্নত বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাকৃতিক জীববিজ্ঞানের সীমা অতিক্রম করে জীবন ধারণ করতে পারে। প্রতিটি মুহূর্ত যা তিনি বেঁচে ছিলেন তা ভবিষ্যতের চিকিৎসা প্রযুক্তির সাক্ষ্য, যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ কেবল মেরামত নয়, সম্পূর্ণ নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব।
টাইটানিয়াম হার্ট হালকা, টেকসই এবং জারণ-প্রতিরোধী, যা এ্যারোস্পেস ডিজাইন থেকে অনুপ্রাণিত। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটি হৃদরোগে নতুন চিকিৎসা ক্ষেত্রের দরজা খুলবে, যেখানে ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্ভব নয় এমন রোগীরাও নতুন আশা পাবে।
তিন মাসেরও বেশি সময় এই ব্যক্তি চলেছেন, হাসেছেন এবং জীবন যাপন করেছেন একটি হৃদয় নিয়ে যা মানুষের নয়, কিন্তু পুরোপুরি মানবিক। তার গল্প সাহস এবং প্রযুক্তির মিলনের এক জীবন্ত প্রমাণ।
ভবিষ্যতের পথে দৌড়াচ্ছে পৃথিবী, এবং তিনি ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গেছেন — জীবনের শক্তি বায়োলজি নয়, উদ্ভাবনী বুদ্ধিমত্তা দ্বারা।