শেষটায় ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ঋতুপর্ণাদের

র‍্যাঙ্কিংয়ের পার্থক্য ফুটে ওঠে সবুজ গালিচায়। থাইল্যান্ড মেয়েদের চেয়ে ৫১ ধাপ পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ নারী দল পারেনি প্রথম প্রীতি ম্যাচে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে। শুক্রবার থাইল্যান্ডের কাছে ৩-০ গোলে হারের পর কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলারের পারফরম্যান্সে হতাশ কোচ পিটার বাটলার ম্যাচ শেষে ক্ষোভও ঝাড়েন। পুরো দলের মধ্যে একটা অস্বস্তি কাজ করছে। 

অতীতে র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে যে মানের ফুটবল খেলেছিল মেয়েরা, থাইল্যান্ডের বিপক্ষে তা খেলতে পারেনি বলেই ক্ষুব্ধ বাটলার। এবার প্রথম ম্যাচের ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা আফঈদা খন্দকার-ঋতুপর্ণা চাকমাদের। স্বাগতিক থাইল্যান্ডের বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় ও শেষ প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ব্যাংককে দুই দলের মধ্যকার ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।

মেয়েদের এশিয়া কাপে নিয়মিত খেলা থাইল্যান্ড ঘরের মাঠে যে শক্তিশালী দল, তা জানাই ছিল বাংলাদেশের। তবে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ভুগতে হয়েছে প্রতিপক্ষের সেট পিস সামলাতে না পারায়। একই সঙ্গে ট্যাকটিক্যালিও পিছিয়ে ছিল লাল-সবুজের মেয়েরা। তাই তো দ্বিতীয় ম্যাচের আগে অনুশীলনে লং শট সামলানো নিয়েই বেশি কাজ করেছেন কোচ। আর প্রথম ম্যাচ ট্যাকটিক্যালি ও টেকনিকে যে ভুলগুলো ছিল, সেগুলো শোধরানোর চেষ্টা করেছেন ইংলিশ কোচ। সেদিন বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে নিবেদনে কমতি ছিল বলে অভিযোগ করেন কোচ। 

টিম মিটিংয়ে এই বিষয়গুলো প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সবার মধ্যেই একটা জেদ কাজ করছে, যে করেই হোক শেষ ম্যাচটা ভালো করতে হবে। জয় না হোক অন্তত ড্র করতে চায় পুরো দল। আমরা সিস্টেমে কিছু পরিবর্তন এনেছি। কিছু কিছু জায়গায় ঘাটতি রয়েছে আমাদের। আমি মনে করি, সেটা পূরণ করতে হবে’– দ্বিতীয় ম্যাচের আগে এভাবেই নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানান বাটলার।

প্রথম ম্যাচে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। রোববার সেই প্রসঙ্গে কোচ বলেন, ‘আগের ম্যাচে মেয়েরা যেভাবে খেলেছে, তা নিয়ে সত্যিকার অর্থে আমার কোনো সমস্যা নেই। তারা ভালো ফুটবল খেলেছে বলেই আমি মনে করি। তবে আমরা মৌলিক কিছু ভুল করেছি– যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা এবং তা সবসময় পাহাড়সম চাপ বয়ে আনে। তবে অনুশীলনে মেয়েদের মানসিকতা খুবই ভালো ছিল। আমি সন্তুষ্ট।’

প্রতিপক্ষ যেই হোক লক্ষ্য যে জয়, তা মনে করিয়ে দিলেন বাটলার, ‘আমরা যে খেলাই খেলি না কেন জিততে চাইব। আমিও সব খেলায় জিততে চাই। তবে সব কিছু বিচার করে বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে। আমরা থাইল্যান্ডের লেভেলে নেই। এটা আমাদের মানতে হবে। তারা খুবই ভালো দল এবং সেটা তারা মাঠে দেখাবেও। আমার মনে হয়, দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে। অনেক সময় বেঞ্চ দেখে দলের শক্তি বোঝা যায়। তাদের বেঞ্চ দেখে মনে হয়েছে, সেখানে আরেকটা দল বসে আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। যদি আমরা মানদণ্ড দাঁড় করানোর ও আরও পেশাদারিত্ব হওয়ার কথা বলি, বড় কিছু কল্পনা করার আগে আমাদের সেই জায়গায় পৌঁছাতে হবে। যেখানে আমরা থাইল্যান্ডের মতো জায়গায় এসে ম্যাচ জেতার কথা ভাবতে পারি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *